Close Menu
    What's Hot

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের ডিসেম্বর মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

    চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    লক্ষ্য নির্ধারন নিয়ে মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনের জুলাই সংখ্যা ২০২৫

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Friday, December 5
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম December 1, 2025

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের ডিসেম্বর মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

      Recent

      সাইকিয়াট্রি বিভাগের ডিসেম্বর মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

      BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

      চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার November 5, 2025

      মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

      Recent

      মানসিক রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে এটাই বড় অর্জন — ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » ‘সাইকোথেরাপিকে তিনি নিজের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন’
    আন্তর্জাতিক

    ‘সাইকোথেরাপিকে তিনি নিজের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন’

    মারুফ খলিফাBy মারুফ খলিফাNovember 15, 2021Updated:November 18, 2021No Comments7 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    ওমর শাহেদ

    ড. অ্যারন টি. বেক যার প্রয়োগবাদী ব্র্যান্ড হলো–থট মনিটরিং সাইকোথেরাপি, যেটি বিষন্নতা রোগের চিকিৎসায় বৈজ্ঞানিক রূপান্তরে পরিণত হয়েছিল; তিনি তার বাড়িতে মারা গিয়েছেন। তবে রেখে গিয়েছেন অনেককিছু। তার প্রতিষ্ঠিত দি বেক ইনিস্টিটিউট অব সাইকোথেরাপির এখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন তারই মেয়ে ড. জুডিথ বেক।

    ড. বেক যখন একজন তরুণ মানসিক রোগের চিকিৎসক ছিলেন, তখন ১৯৫০’র দশকের শেষের দিকে তিনি ফ্রয়েডিয়ান বিশ্লেষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এরপর থেকে রোগীদের তাদের প্রতিদিনের চিন্তাগুলোর বিকৃতির দিকে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করতে লাগলেন। তিনি পদ্ধতিটি ব্যবহার শুরু করলেন তাদের মনে প্রথিত সংঘর্ষগুলো তুলে আনার বিপরীতে। তখন এই পদ্ধতিতে গতানুগতিকভাবে থেরাপিস্টরা কাজ করতেন। তিনি আবিস্কার করলেন, অনেক মানুষের জন্মও হলো তার তত্বে। একে তিনি বলেছেন, ‘অটোমেটিক থটস’ বা ‘স্বয়ংক্রিয় চিন্তাগুলো’ বা ‘স্বয়ংক্রিয় চিন্তন পদ্ধতি’। তাতে অপরিক্ষিত অনুমানগুলো যেমন ভালোবাসা পাবার ক্ষেত্রে আমি দুভাগা বা আমি সবসময় সামাজিকভাবে অনুপোযোগী, এটি স্ব–সমালোচনার জন্ম দিতে পারে। আরো জন্মাতে পারে হতাশা, নিজেকে ক্ষয় করে দেবার বোধ ও প্রচেষ্টার। এর ফলে মানুষটির মধ্যে উশৃংখলতা বা বেশি পরিমাণে মদ্যপানের অসক্তির জন্ম হতে পারে।

    ড. বেক খুঁজে পেলেন যে, তিনি ভিত্তি দুর্বল করে দিতে পারেন এই অনুমানগুলোর, মানুষকে তাদের গড়া ভুবনের বাইরের টেষ্টগুলো করায় উৎসাহিত করে। তাতে তিনি মদ্যপান না করা অবস্থায় সামাজিকীকরণের মাধ্যমে কী ঘটে সেগুলো পযবেক্ষণ করে এবং পাল্টাপাল্টিভাবে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে উপাত্ত জোগাড় করে কাজ করেছেন। যেমন ভালো ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্কগুলোর স্মৃতি নিয়ে এসে। এই কৌশলগুলো অনুশীলনের মাধ্যমে থেরাপি সেশনগুলোতে এবং বাড়ির কাজের অনুশীলনে প্রতিপালিত করেছেন একটি অন্ত: কথপোকথনের, যেটি ক্রমান্বয়ে মানুষের প্রদশিত মনোভাবের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

    ড. বেকের কাজ, অ্যালবাট এলিসের সঙ্গে মিলে করা; এলিস একজন মনোবিজ্ঞানী, যিনি স্বাধীনভাবে কাজ করেছেন। ভদ্রলোক মারা গিয়েছেন। তারা কাঠামো তৈরি করেছেন সেটির জন্য, এখন যেটি কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি বা সিবিটি।

    গেল কয়েক দশক ধরে সিবিটি মনোসমীক্ষণ নিরাময় বিদ্যার সবচেয়ে ব্যাপকভাবে পড়া বিষয় হিসেবে বিশ্বজুড়ে পড়া হয়েছে। ইংল্যান্ডে এর ভিত্তিতে দেশজুড়ে কয়েক ধরণের কথা বলার থেরাপির চিকিৎসা প্রদান ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ফলে গর্ব করে ড. বেক বলেছেন, ‘সমতলে চোখ যা দেখে তার চেয়ে বেশি আছে।’ সিবিটির অনুপ্রেরণায় মানসিক ব্যাধিগুলোর চিকিৎসাতে যা হচ্ছে সেটি বললে অতিরঞ্জিত মনে হবে।

    গবেষকরা নিজেদের এই পদ্ধতির সঙ্গে অভিযোজিত করে নিয়েছেন। যদিও এটি প্রথমে বিষন্নতার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এরপর থেকে এটি পাগলদশা, মাদকাসক্তি, খাবারের ব্যাধি, সামাজিক উদ্বেগ, ঘুমহীনতা এবং আচ্ছন্নকারী–পীড়নকারী মানসিক ব্যধিগুলোর চিকিৎসাতে অন্যতম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। থেরাপিস্টরা বাবা–মাকে শিশুকিশোরদের রাগ, ঘৃণা ইত্যাদি ক্রোধের ভিন্নতা সামলানোর জন্য বাড়িতে ব্যবহারের কৌশল শিখিয়েছেন। কিছু পিতামাতা এটি ব্যবহার করেছেন। মেডিটেশনের সঙ্গে মিলে সিজোফ্রেনিয়া রোগের মানসিক বিভ্রম বা মোহের, অলীকের প্রতি মায়ার চিকিৎসায় ব্যবহার করেছেন কগনিটিভ বিহেভিয়ার থিওরি। ক্রীড়া মনোবিদরা নৈপুণ্যজনিত উদ্বেগের চিকিৎসাতে সিবিটির মূলনীতিগুলো ব্যবহার করেছেন। এই কাজগুলোতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডা. অ্যারন টি বেক তার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে। একের পর এক মনোরোগবিদ্যার প্রতিটি অবস্থাকে তিনি গ্রহণ করেছেন এবং কীভাবে সেটিকে বলা যাবে বা ব্যাখ্যা করা যাবে অথবা সিবিটির চিকিৎসা পদ্ধতিতে নিয়ে আসা যাবে ভেবেছেন এবং অন্যরা সেটি এরপর গ্রহণ করেছেন–বলেছেন ডেভিড ক্লার্ক।

    তিনি অক্সফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি নকশা ও উন্নয়ন করতে সহযোগিতা করেছেন ব্রিটেনের কথা বলার থেরাপি প্রকল্পের। বলেছেন তিনি, ‘আমি নিশ্চিত নই, এই ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করা কী হয়ে গিয়েছে, আসলে সামগ্রিকভাবে এই পথ ধরে চলছে।’

    যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ভ্যানডারবিট ইউনিভাসিটির একজন মনোবিজ্ঞানী স্টিভেন হলোন ড. বেক সম্পকে বলেছেন, ‘তিনি শত বছরেরও বেশি বয়সের একটি মতবাদ নিয়েছেন, খুঁজে পেয়েছেন এটি অসমাপ্ত নেই এবং আবিস্কার করেছেন কিছু বিস্তৃত, টিকানো এবং কাযকর কিছুকে এই স্থানটিতে দেবার জন্য। সাইকোথেরাপিকে তিনি আসলে তার নিজের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন।’

    এই অ্যারন টি বেক বন্ধু ও সহকমীদের কাছে টিম নামে পরিচিত। জন্মেছেন রোডে আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের রাজধানী প্রভিডেন্সে। ১৯২১ সালের ১৭ জুলাই তার পৃথিবীতে আগমন। রাশিয়ান ইহুদি অভিবাসী মা–বাবার চার ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট টিম। তার বাবা হ্যারি ছিলেন একজন প্রিন্টার। তার ছিল সামাজতান্ত্রিক শিক্ষা এবং অবসরে কবিতা লিখতেন। তা মা এলিজাবেথ বেথ, ডাকনাম টেমকিন; বাড়ির কত্রী ছিলেন। তিনিই সংসার চালাতেন। একটি শিশু হিসেবে অ্যারন ছিলেন অবিরাম গতিশীল। যে ধরণের শিশুদের আমরা প্রচণ্ড দুষ্ট বলি। বিদ্যালয়ে তিনি আরো ছিলেন একজন বয় স্কাউট। যে আট বছর পযন্ত বন্ধুদের সঙ্গে বাস্কেটবল ও ফুটবল খেলতে ভালোবাসতো। এরপর তার একটি ভাঙা হাতে অপারেশনের পর জটিল সংক্রমণ হলো। সেই মাসটি তাকে হাসপাতালে কাটাতে হলো। ফলে জীবনের অন্যতম অভিজ্ঞতা লাভ করলো শিশুটি।

    এই অভিজ্ঞতাই তাকে বদলে দিলো। তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক সাধনার দিকে চলে গেলেন। সেই থেকে পড়া ও লেখার অভ্যাস শুরু হলো টিমের। উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতি হলেন। ছাত্রটির বিশেষ স্বাতন্ত্র্য ছিল এবং তিনি সবচেয়ে ভালো ফলাফল নিয়ে পাশ করলেন। এটি ১৯৪২ সালের ঘটনা।

    এরপর তিনি ইয়েল ইউনিভাসিটি থেকে মেডিক্যালের একটি ডিগ্রি নিলেন এবং তারপর থেকে চাকরি জীবন শুরু করলেন। আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে মনোরোগবিদ্যা বিভাগে কাসিং ভেটেরানস অ্যাডমিনিসট্রেশন হসপিটালে কাজ শুরু করলেন। এটি আছে ম্যাসাচুসেটসের ফামিংহাম, মাসে। তখনো কিন্তু শিখছেন অ্যারন টি বেক। তিনি তখন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিলেন ফিলাডেলফিয়া সাইকোনালিট্রিক ইনিস্টিটিউটে (এটি এখন সাইকোনালিট্রিক ইনিস্টিটিউট অব ফিলাডেলফিয়া)।

    এখানেই তার মনে প্রথম সন্দেহ তৈরি হলো ফ্রয়েডের ওপেন–এন্ডেড টক থেরাপির বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর। এটি তখন মাকিন মনোরোগবিদ্যার স্বণ স্তরে ছিল। যদিও ফ্রয়েডীয় বিশ্লেষকরা একমত হয়েছিলেন, সেখানে অনেক মনোরোগে কাজের ক্ষেত্রে গভীর নির্দেশক ছিল, তবে ২০০০ সালে টাইম ম্যাগাজিনকে ড. বেক বলেছেন, ‘কেউই তারা কোথায় আছেন এই ব্যাপারে একমত হতে পারেননি।’ ফ্রয়েডের ধারণাগুলোর জন্য কিছু প্রায়োগিক ভিত্তি খোঁজার ব্যথতার পর, তিনি রোগীদের আগে এবং এখন কী অবস্থায় আছেন সেই ভাবনাগুলোর ওপর আলো ফেলতে শুরু করলেন।

    কয়েক বছর এরপর সম্পর্কের অস্পষ্টতা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। তবে এই সময় তিনি যেখানে পা রাখছেন সেগুলো সম্পকে নি:সন্দেহ ছিলেন না। শুরুর দিকে এই কাজ করে গিয়েছেন তার স্ত্রী ফিলিসের সমর্থনে। পরে স্ত্রী সম্পর্কে অ্যারন টি বেক বলেছেন ‘সে আমার বাস্তবতা পরীক্ষক’। তিনি ও ফিলিস উইটম্যান ১৯৫০ সালে বিয়ে করেছেন। জুডে ফিলিস বেক এখন অবসর নিয়েছেন এবং মৃত্যুর আগ পযন্ত তার দেখাশোনা করেছেন। তিনি ছিলেন পেনসিলভানিয়া সুপ্রিম কোটে কাজ করা প্রথম নারী। তার ও মেয়ে জুডিথের সাহায্য নিয়ে ডা. বেক বেঁচেছেন। তাছাড়াও তখন তাকে সাহায্য করেছেন তাদের আরেক মেয়ে অ্যালিস বেক ডিব্রু। তিনি পেনসিলভানিয়ার আদালতগুলোর একজন বিচারক। তাদের দুই ছেলে আছে রায় এবং ড্যানিয়েল।

    প্রকাশ্যে ড. বেক অন্যান্য চিন্তাবিদদের নজির টেনেছেন। যেমন–জার্মান মনোসমীক্ষক কারেন হরনি (১৮৮৫ থেকে ১৯৫২), মার্কিন মনোসমীক্ষক জর্জ কেলি (১৯০৫ থেকে ১৯৬৭) এবং ড. অ্যালবাট এলিস। তিনিও মার্কিন মনোসমীক্ষক। ড. অ্যারন টি. বেক জানিয়েছেন এই মানুষগুলোর ভাবনা থেকে তিনি তার ভাবনাগুলোকে উন্নত করেছেন। যেমন–ড. এলিসের বলা র‌্যাশনাল ইমোটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি’র সঙ্গে ডা. বেকের অ্যাপ্রোচের অনেক সাধারণ চিন্তন প্রক্রিয়ায় মিল আছে। ড. এলিস ছিলেন একজন বর্ণাঢ্য চরিত্র, কঠোর চরিত্রের মানুষ, ভালোবাসায় ঘেরা বাবার মতো। ১৯১৩ সালের সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে জন্মেছেন, মারা গিয়েছেন ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই। তিনি মাকিন মনোবিজ্ঞানী ও মনোসমীক্ষার চিকিৎসক। তিনি র‌্যাশনাল ইমোটিভ বিহেভিয়র থেরাপি (আরইবিটি)’র জনক। বিশ্বখ্যাত এই মনোরোগবিজ্ঞানী এমএ ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন মনোবিদ্যায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাকে সাটিফিকেট দিয়েছে দি আমেরিকান বোড অব প্রফেশনাল সাইকোলজি (এবিপিপি)।

    তার সঙ্গে ড. বেকের বৈপরীত্য বলতে তত্বটি প্রয়োগে মায়াময় সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি রোগীদের সঙ্গে। হাসছেন নরম করে, পরিপাটি করে আঁচরানো সাদা চুল, পরে আছেন উজ্জ্বল টাই ও টেইলারের দোকানে বানানো স্যুট। তিনি রোগীদের সঙ্গে ভদ্রভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন ও সেটি বজায় রাখতেন। একটি বিশ্বাসের সঙ্গে তার ভেতরে ছিল দার্শনিক প্রশ্নাবলী। তার ছিল সমসাময়িক অনেকের চেয়ে একটি আলাদা কাজ ও কাজের ফলাফল। যখন তিনি প্রথম নিজের অ্যাপ্রচ বা পদ্ধতির বিবরণ দিলেন, ফ্রয়েডিয়ান বিশ্লেষকরা ঝুঁকি নিয়ে বলেছিলেন যে তিনি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেননি। তারা শেষ পযন্ত পড়ে গিয়েছেন। তারা আরো আরোপ করেছিলেন যে, তিনি অন্যদের উপলব্ধি করার মতো পরিপূণভাবে সজ্জিত হননি। এর কারণ জানিয়েছেন, তিনি পুরোপুরিভাবে নিজের প্রশিক্ষণ থেরাপিটি নিজেই বুঝতে পারেননি।

    এরপরও কাজ চালিয়ে গেছেন ড. অ্যারন টি. বেক। পরে ১৯৮০’র দশকে ডা. বেক অন্যদিক থেকে আক্রান্ত হলেন। তারা নিজেরাই নিজেদের বায়োলজিক্যাল সাইকিয়াট্রিস্ট বলে পরিচয় দিতেন। এর মানে হলো তারা ছিলেন জীববিদ্যাসংক্রান্ত মানসিক রোগের চিকিৎসক। তারা মাদকাসক্তির চিকিৎসায় মনোযোগ দিয়েছিলেন। তারা ড. বেকের সিবিটির পড়ানোর ও পড়ার স্বক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারা বলেছিলেন, কোনো রকমের প্রভাব ফেলে না এমন কাজ করেছে মাদকের চিকিৎসায় সিবিটি। অথচ তখন ব্যাপকভাবে সিবিটি মাদকাসক্তির চিকিৎসায় মনোরোগ চিকিৎসকরা ব্যবহার করছেন। এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করলেন ও যুক্তি খাড়া করলেন তখন দি নিউ ইয়ক সাইকিয়াট্রিক ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ড. ডোনাল্ড কেলিন। তিনি বলেছেন, এর কারণ হলো, বৈজ্ঞানিকভাবে যেতে হবে এমন চিকিৎসা উপসংহারে পৌঁছানোর চেয়ে সাধারণত এটি মানসিক উন্নতির সূচক। কগনিটিভ থেরাপি ছড়িয়ে পড়লো বিশ্বজুড়ে। তার একটি কারণ হলো থেরাপিস্টরা একে উপকারী বলে জানালেন ও আরেকটি কারণ হলো এটির কৌশলগুলো সংক্ষেপিত করা গিয়েছে সহজে হাতে, হাতে। তাছাড়াও আকার, আয়তন বা গুণে একে আদশ হিসেবে তৈরি করা যাচ্ছে। ফলে এটি গবেষণা শিক্ষণে পড়া ও ব্যবহার করা হয়েছে। আর ধৈয্যশীল, সহজ ভাষায় কথা বলা এবং এটি নিয়ে প্রত্যয় বা বিশ্বাস উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন ড. বেক ছিলেন এর সবচেয়ে কার্যকর দূত। 

    নিউিইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে

    স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
    করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
    মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

    কগনিটিভ বিহেবিয়ার থেরাপি ডা. অ্যারন টি. বেক ডা. বেক সাইকোথেরাপি সিবিটি
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleব্যাকামের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
    Next Article সাহিত্যের সঙ্গে মনের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ
    মারুফ খলিফা

    Related Posts

    আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের দুইজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পুরস্কার প্রাপ্তি

    October 6, 2024

    দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় আমি অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড থাকি

    July 9, 2024

    সার্ক সাইকিয়াট্রিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক হলেন ডা. তারিকুল আলম

    November 8, 2023
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম December 1, 2025

    সাইকিয়াট্রি বিভাগের ডিসেম্বর মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

    বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) সাইকিয়াট্রি বিভাগের ডিসেম্বর মাসের বৈকালিক চিকিৎসাসেবা সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সূচি…

    BACAMH – এর সদস্যপদ নবায়ন শুরু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নবায়ন সম্পন্নের আহ্বান

    চিকিৎসকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্য এখনো উপেক্ষিত

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.