কোভিড -১৯ মহামারী আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককে স্পর্শ করেছে। সাথে সাথে প্রত্যেকের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক (পিতামাতা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র) দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য সমস্যাগুলোর মধ্যে চাপ সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে।
কিন্তু আমাদের নিজস্ব স্থিতিস্থাপকতা এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মাধ্যমে আমাদের মানিয়ে নিতে এবং স্বাভাবিক জীবনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় যে, আমেরিকানরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কোভিড-১৯ দ্বারা কম প্রভাবিত বোধ করছে।
কোভিড কীভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্পর্শ করে বা আমরা এর প্রভাবগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি সে সম্পর্কে আমরা সত্যিই ভালো বোধ করছি কিনা! একটি চাপ আছে, তবে তা অব্যাহত রয়েছে এবং এটি একটি বড় চাপ।
জুলাই এবং আগস্টের মধ্যে কোভিড -১৯ এ আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আর্থিক চাপ এখনও কমেনি। বসন্তে ৩৩% লোক রিপোর্ট করেছেন যে কোভিড আর্থিক বিষয়ে মাঝারি থেকে চরম প্রভাব ফেলেছে এবং এখন কার্যত একই রকম ৩২%। এমনকি অন্যান্য কোভিড স্ট্রেস ৫% থেকে ৬% হ্রাস পেয়েছে।
মানসিক চাপের প্রভাবগুলো
আমাদের জীবনে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার সম্মুখীন হওয়ার বেশিরভাগ অসুবিধা এইভাবে ঘটে। সেই অনুভূতিগুলো আমাদের সারাদিন বিভিন্নভাবে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
আপনি যদি সন্ধ্যায় চাপে থাকেন তবে রাতের ঘুমকে নষ্ট করতে পারে। যার ফলে আপনি পরের দিন সকালে ক্লান্ত এবং ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। সম্ভবত আপনি ব্যায়ামের জন্য যথেষ্ট তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন না।
এই সমস্ত অনুভূতি আরও বাড়তে পারে। ২৭% মানুষ পূর্বের ৩০ দিনের মধ্যে আর্থিক চাপের সবচেয়ে বড় উৎস হিসাবে উল্লেখ করে। এই সমস্যাটির প্রতি সংবেদনশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবং ৩০ দিন পর তুলনামূলকভাবে মাত্র ১৬% কোভিডকে তাদের মানসিক চাপের সবচেয়ে বড় উৎস হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
বিশ্বে এখন আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নগামী । বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন এই সংকট কেটে যাবে। তবে অবশ্যই সেটা রাতারাতি হবে না। সম্মিলিত চেষ্টা জাতিকে আর্থিক সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে