জেনিটো-পেলভিক পেইন বা পেনিট্রেশন ডিজঅর্ডারের সঠিক বাংলা করাটা তেমন কঠিন কিছু নয়। কিন্তু বাংলায় সেটা কতটুকু গ্রহণ যোগ্য হবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তাই সহজ পথ হল ইংরেজী শব্দগুলোর বাংলা অর্থ বলে দিয়ে ইংরেজী শব্দগুলোই ব্যবহার করে যাওয়া। আমি সেভাবেই লেখাটা লিখতে যাচ্ছি বলে আগাম জানিয়ে দিলাম।
জেনিটো শব্দ দিয়ে জননাঙ্গ বুঝানো হয়। পেলভিক শব্দটা তল পেটের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। পেনিট্রেশন বলতে প্রবিস্ট করানো বা ঢোকানো বুঝি। জেনিটো-পেলভিক পেইন বা পেনিট্রেশন ডিজঅর্ডার নারীদের একটি যৌনরোগ। এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল সেক্স করতে গেলে নারী ব্যথা পায়।
দুই জায়গায়ই সে ব্যথা অনুভব করতে পারে, এক তার জননাঙ্গ বা যোনীতে আর দুই তার তল পেটে। ফলে যৌনমিলন তার জন্য ঝামেলার হয়ে পড়ে। কখন আমরা বুঝব একজন নারী জেনিটো-পেলভিক পেইন বা পেনিট্রেশন ডিজঅর্ডারে ভুগছে? যদি সে নীচের বর্নিত সমস্যাগুলোর একটি বা ততোধিক অনুভব করেঃ
১. যৌনমিলনে কষ্ট হওয়া
২. জেনিটো- পেলভিক ব্যথা
৩. ব্যথা পাবে ভেবে ভয় পাওয়া
৪. পেনিট্রেশনে ভয় পাওয়া
৫. তলপেটের নীচের দিকের মাংসপেশী শক্ত বা আড়ষ্ঠ হয়ে যাওয়া
পূর্বে এধরনের সমস্যাকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হত। যারা ব্যথার সমস্যায় ভুগতো তাদেরকে বলা হত তারা ডেসপেরোনিয়া বা ব্যথাযুক্ত মিলনে ভুগছে। আর যারা পেনিট্রেশন সমস্যায় ভুগতো তাদেরকে বলা হত তারা ভেজিনিসমাসে ভুগছে। কিন্তু এভাবে পৃথক করাটা অনেক সময়ই সম্ভব হত না। কারণ এমন অনেক রোগী আছে যারা একই সাথে উভয় সমস্যায় ভোগে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে একটা সমস্যার জন্য আরেকটা হয়। যেমন দেখা গেল একজন হয়ত ভেজিনিসমাসে ভুগছে, সেই ভেজিনিসমাসের কারণে পরবর্তিতে ব্যথাযুক্ত মিলনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই সহজ করার জন্য বর্তমানে একত্রে একটি শিরোনামে দেখা হয়।
সূত্র: লেখাটি মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে