মানুষ হতাশায় থাকলে তার মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট একটি অংশ সংকুচিত হয়ে যায়। কিন্তু হতাশার সঙ্গে উদ্বেগ যোগ হলে আকার ‘অনেকখানি’ বেড়ে যায়।
দ্য জার্নাল অব সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ব্রেইন ভলিউমের ওপর হতাশা এবং উদ্বেগের প্রভাব বুঝতে ১০ হাজার মানুষকে নিয়ে তারা কাজ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, হিপোক্যাম্পাসের ওপর হতাশা স্পষ্ট একটা প্রভাব ফেলে, সংকুচিত হয়ে যায়। মস্তিষ্কের এই স্থানটি শেখা এবং স্মৃতি বিষয়ক কার্যক্রমের অংশ।
কিন্তু হতাশা এবং উদ্বেগ যখন একসঙ্গে মনকে ঘিরে ধরে, তখন মস্তিষ্কের আবেগ-অনুভূতি কার্যক্রমের অংশ যাকে এমিগডালা বলা হয়, সেটি আকারে বড় হয়ে যায়। মানুষের সামাজিক ও আবেগনির্ভর আচরণ নিয়ন্ত্রণে এমিগডালার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
‘মস্তিষ্কের ওপর হতাশার প্রভাব সংক্রান্ত অনেক গবেষণায় উদ্বেগের বিষয় গ্রাহ্য করা হয়নি,’ জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং প্রধান গবেষক ড্যানিয়েলা এস্পিনোজা ওয়ার্স বলেন, ‘হতাশা থেকে প্রায়ই মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এই দুটি সমস্যার প্রভাব একসঙ্গে বিবেচনা করে অনেক মানসিক রোগের সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
যারা হতাশা এবং উদ্বেগের সমস্যায় ভোগেন তাদের মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট অংশ বড় হওয়ায় আগের ধারণা অনুযায়ী মস্তিষ্ক পরীক্ষা করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে হতাশা থেকে মস্তিষ্কের কী ক্ষতি হয়েছে, তার সম্পর্কে ভুল ধারণা আসবে।
‘উদ্বেগ কীভাবে মস্তিষ্কে হতাশার প্রভাব কমিয়ে দেয়, সেটি ভালো করে বুঝতে আরও গবেষণা দরকার। তবে এমিগডালার ক্ষেত্রে উদ্বেগ হয়তো ওভার-অ্যাক্টিভিটির দিকে নিয়ে যায়।’
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন:সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন