গ্রামের হুজুর বলে তাকে জ্বীনে ফেলে দিয়েছে

0
78
যৌন ভীতি আপনার সঙ্গীকেও প্রভাবিত করতে পারে

সমস্যা: আমার নাম শরিফা ইয়াসমিন। সমস্যা আমার ছেলের। ওর বয়স ২১ বছর। সে এখন ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ১১ বছর বয়সের সময় সে গ্রামের বাড়িতে দিঘির পাড়ে সাইকেল চালানোর সময় দিঘীতে পড়ে যায়। সেসময় গ্রামের হুজুর বলে জ্বীনে তাকে ফেলে দিয়েছে। এরপর থেকে তার অন্য সব আচরণ স্বাভাবিক থাকলেও সে বিশ্বাস করে তার সাথে জ্বীন আছে। এরপর থেকে সে কখনও রাতে একা ঘুমায় না। প্রথমে ভাবতাম বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে। এত বড় ছেলে একা ঘুমায় না, কি করা যেতে পারে?

উত্তর : ধন্যবাদ,আপনার প্রশ্নটির জন্য। আপনার কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে আপনার ছেলের দিঘীতে পড়ে যাওয়ার জন্য হুজুরের ব্যাখ্যাটা তার মাথায় রয়ে গেছে। এবং একা ঘুমাতে না চাওয়ার পেছনে ‘সাথে জ্বীন আছে’ এই বিশ্বাসটা যথেষ্ট শক্তিশালী ভাবে কাজ করছে। তবে আরো কিছু তথ্য প্রয়োজন। আপনার ছেলে কি সারাদিনে একা থাকতে পারে? আপনি যখন দূরে থাকেন তার থেকে তখন কতটা আশ্বস্ত থাকে? এইরকম কোন ভয়ে থাকে কিনা যে একা থাকলে তার কোন ক্ষতি হবে? সামাজিক পরিবেশে কেমন আচরন করে? তার ঘুমের কোন সমস্যা আছে কিনা?
আপনি জানতে চেয়েছেন যে এই পর্যায়ে কি করা যেতে পারে। তাকে এটা বুঝাতে হবে যে সে একা থাকা নিয়ে যেই ভয় পাচ্ছে সেটা অমূলক এবং তাকে একা ঘুমানোর অভ্যাস করাতে পরিবারের কেউ তার সাথে ঘুমাবেনা। এটা বুঝানোর জন্য সুবিধা অসুবিধা দিয়ে, তার পরিচয়ের উপর এটার প্রভাব নিয়ে কথা বলতে হবে। এই ব্যাখ্যার পরেও যদি একা ঘুমাতে না পারে তাহলে একজন অভিজ্ঞ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের কাছে সাইকোথেরাপীর জন্য নিয়ে যেতে হবে। আর ঘুমের সমস্যা থাকলে এবং অন্য কোন ভীতি থাকলে সেটার জন্য সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে দেখিয়ে চিকিৎসা নির্ধারন করা লাগবে।
Previous articleলাইক কমেন্টে বাড়ছে মানসিক ক্ষতি
Next articleমানসিক সমস্যা মহামারি আকারে: ফিলিপাইনে বিনামূল্যে চিকিৎসা করবে সরকার
ডা. সৃজনী আহমেদ
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল, মগবাজার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here