বৈধতা না থাকা সত্বেও মনোরোগের চিকিৎসক

ফারজানা ইয়াসমিন, মনোবিজ্ঞান স্নাতক এম ফিল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী, জাতীয় মানসিক হাসপাতাল ও পিজি হাসপাতাল, ঢাকা। এমনটিই উল্লেখ করা তার ব্যক্তিগত প্যাডটিতে। কিন্তু, তার সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। কোন প্রকার আইনি বৈধতা ছাড়াই চিকিৎসা করে আসছে মনোরোগে আক্রান্ত রোগীদের।
গতকাল শুক্রবার, বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ও তার সিরাজগঞ্জের ব্যক্তিগত চেম্বার সোহাগ ডায়াগষ্টিক কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় এমন তথ্যে। ফলে একদিকে যেমন হয়রানি হতে হচ্ছে সাধারন রোগীদের, অন্যদিকে আস্থাহীনতা আসতে পারে মনোরোগের চিকিৎসকদের প্রতি।
ফারজানা ইয়াসমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চতর ট্রেনিংএর জন্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে গেলেও ট্রেনিং অসম্পূর্ন রেখেই চলে আসেন সেখান থেকে। ডিগ্রি না থাকার কারনে তিনি আইনগতভাবে কোন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নয় এবং ডাক্তার না হওয়ার কারনে কোন প্রকার প্রেসক্রিপসন করার বৈধতা তার নেই। কিন্তু, সরেজমিন দেখা মিলে ভিন্ন চিত্র। অবাধেই বিভিন্ন ক্লিনিক ও চেম্বারে বসে রোগী দেখছেন এবং বিভিন্ন ঔষুধ ও সেবা পরামর্শ দিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহাগ ডায়াগষ্টিক কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, অতি সম্প্রতি আমরা অভিযোগ সম্পর্কে অবগত হয়েছি এবং আমাদের এখানে রোগী দেখা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক মো: জহির উদ্দিন (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট) জনান, যদি কারো ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে এম ফিল না করা থাকে তবে তিনি ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট নয় এবং তার মেডিসিন প্রদানের বৈধতা নেই। উল্লেখ্য ফারজানা তার প্রেসক্রিপশনে নিজেকে পিজি এবং জাতীয় মানসিক হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট হিসেবে উল্লেখ করেছে। যার কোনটাই সত্যি নয়।

Previous articleযৌন ও পর্নগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তিদের যেভাবে শনাক্ত করবেন
Next articleসম্পর্ক ভালো রাখার উপায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here