দৈনন্দিন জীবনে আমাদের মনে হাজারো গোপনীয় বিষয় থাকে। কোনোটা একান্ত ব্যক্তিগত আবার কোনোটা পারিবারিক, কোনোটা সামাজিক। তবে প্রশ্ন হলো সব বিষয়ই কি অন্যের সাথে শেয়ার করা উচিৎ। এখন একটা বিষয় মনে বাসা বাঁধতে পারে। আপনি যে গোপনীয় বিষয়টি জানেন বা আপনার সাথে সম্পর্কযুক্ত সেটি কাকে নিয়ে? নিশ্চয়ই, আপনার একার ব্যক্তিগত কোনো গোপনীয় বিষয় হতে পারে বা আপনার গোপনীয় বিষয়টির সাথে আপনার গার্ল ফ্রেন্ড সম্পর্কযুক্ত থাকতে পারেন। যেমন ধরেন, আপনার সাথে সে মেয়ের অনেক দিনের সম্পর্ক। কিন্তু আপনাদের এই গোপনীয় বিষয়টি আপানারা দুজন ছাড়া অন্য কেউ জানেন না এবং আপনারা চান যে, আপনারা দুজন ছাড়া অন্য কেউ যেন এই বিষয়টি না জানতে পারে। আবার আপনার মনে হতে পারে বিষয়টি আপনার নিকট কারো সাথে শেয়ার করা উচিৎ।
এই যেমন ধরেন, সম্পর্ক তো সারাক্ষণ একরকম থাকেনা। কখনো কখনো আপনাদের মাঝে রাগ অভিমান হতেই থাকে এবং এটা অনবরত হতেই থাকে, সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়ন শুরু হয়। আপনি তাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন এবং তাকে ছাড়তে চান না। এমন পরিস্থিতিতে আপনার মনে এক ধরনের মানসিক বিষণ্ণতা আসে। এ মুহূর্তে আপনি ভাবছেন আপানার সম্পর্কের জন্যই আপনাকে মানসিক বিষণ্ণতায় ভুগতে হচ্ছে। আপনি চাচ্ছেন বিষয়টি অন্য কারো সাথে মানে নিকট কোন ফ্রেন্ডের সাথে শেয়ার করতে আবার ভয়ও পাচ্ছেন তার প্রতি বিশ্বাসযগ্যতা নিয়ে। মনে ভাবেন যে, যদি সে অন্য কাউকে বলে দেয়, অন্য কারো কাছে প্রকাশ করে ফেলে।
তাই ভবিষ্যৎ বিষয় চিন্তা করেও বিষয়টি অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে পারছেন না। আবার অনেক সময় আপনার নিকট এবং বিশ্বাসযোগ্য কেউ আপনাকে একটা গোপনীয় বিষয় বলল এবং সাথে সাথে আপনার প্রতিজ্ঞা নিয়ে নিল যে, এ গোপনীয় বিষয়টি আমি যেন অন্য কারো সাথে শেয়ার না করি। প্রকৃতপক্ষে, সে আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেই আমাকে সে গোপনীয় বিষয়টি বলেছে। তাই বিশ্বাসের প্রতি মর্যাদা রেখে সে গোপনীয় বিষয় অন্য কারো সাথে শেয়ার না করাই উত্তম। কারণ, কোনো গোপনীয় বিষয়ের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেটি যেন গুপ্ত থাকে। এছাড়া কোনো গোপনীয় বিষয় প্রকাশ পেলে গোপনীয় বিষয়টি যার সাথে সম্পর্কিত তার মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। সে দিকটি মনে রেখেই গোপনীয় বিষয়টি অন্য কারো সাথে শেয়ার না করাই ভালো।
কোন গোপনীয় বিষয় প্রকাশ করার সাথে যার গোপনীয় বিষয়টি, তার সাথে আপনার সম্পর্কের গভীরতা কতটুকু সেটা অনুধাবন করা যায়। কারণ গোপনীয় বিষয় প্রকাশ পেলে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরবে। সুতরাং আপনি আপনার বিবেককে জিজ্ঞেস করলেই বুঝতে পারবেন আপনি সম্পর্ক কে কতটা গুরুত্ব দেন। যে কোনো সম্পর্ক টিকে থাকে পারস্পারিক বিশ্বাসের ওপর। বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে সম্পর্ক ও ভেঙ্গে যায়।
লেখক- রবিউল
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে