লকডাউনে গৃহবন্দী থাকা কারও কাছে ছিল অসহ্য, আবার কেউ কেউ বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন এই অবস্থা। বিশেষ করে ইংলন্ডের বিবাহিত দম্পতিরা বেশ খুশি হয়েছেন এই লকডাউনে এমনটাই বলছে গবেষণা।
ম্যারেজ ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা যে সমীক্ষা করেছে তার ফলাফল বেশ পজিটিভ। বেশিরভাগ দম্পতিই জানিয়েছেন যে লকডাউনের সময়ে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। তবে ঝগড়া বিবাদ আর মনোমালিন্যও যে হয়নি, তা নয়।
সমীক্ষা মোতাবেকে, বিবাহিতদের দাম্পত্য যে শুধু দৃঢ় হয়েছে তা নয়, জুনের পর বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যাও যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ লকডাউনের আগে যারা বিবাহবিচ্ছেদ করবেন বলে ভেবেছিলেন, তারা যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
গবেষকরা দেখিয়েছেন যে আচমকা সব কিছু স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং একসঙ্গে গৃহবন্দী থাকার দরুন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা আগে থেকে ধারণা করা যায়নি। মূলত সেগুলোর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়েই দাম্পত্যের ফাটলগুলো আপনা থেকেই জুড়ে গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘরের কাজ করেছেন, রান্না করেছেন আবার ছেলেমেয়েদের অনলাইন পড়াশোনার দায়িত্বও ভাগ করে নিয়েছেন। এত কাজ একসঙ্গে করতে গিয়েই দৃঢ় হয়েছে বন্ধন।
তবে অনেকে এর বিপরীত কথাও বলেছেন। এই লকডাউন তাদের কাছে অভিশাপ ছিল। অর্থাৎ গৃহবন্দী হয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই ছিলো। দু’-একজন এই কাজ ভাগাভাগি নিয়ে পরস্পরের প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন ঠিকই। তবে সব দিক থেকে বিচার করলে এই সমীক্ষা বেশ পজিটিভই বলা চলে। অন্তত দাম্পত্যের দিক থেকে এটা বেশ ভালো সময় বলা যায়।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে