Close Menu
    What's Hot

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Friday, October 17
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 14, 2025

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      Recent

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      মনস্তত্ত্ব December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » সাইকোথেরাপি কী, কখন প্রয়োজন?
    ফিচার

    সাইকোথেরাপি কী, কখন প্রয়োজন?

    Moner KhaborBy Moner KhaborNovember 5, 2024Updated:November 5, 2024No Comments6 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    সাইকোথেরাপি কী, কখন প্রয়োজন?
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন্নাহার
    এমবিবিএস, এফসিপিএস (সাইকিয়াট্রি), আইএফএপিএ (ইউএসএ)
    সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্ট
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল,ঢাকা।

    সতেরো বছরের রুবানা (আসল নাম নয়)। বাবা-মা নিয়ে এলেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে। মেয়েটার হাতে অনেক কাটাছেঁড়ার দাগ। ছয় দিন আগে বেশি পরিমাণে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে তাৎক্ষণিক gastric lavage দেওয়া হয় এবং একটু সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে পরামর্শের জন্য বলা হয়।

    রোগের ইতিহাস নিয়ে জানা গেল রুবানা প্রায়ই নিজেকে আঘাত (self harm behavior) করে। সে অল্পেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, একাকিত্বে ভোগে, মনে করে কেউ তাকে বোঝে না, বিষণ্ণ বোধ করে। রেগে গেলে রুবানা কিছুতেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

    চিৎকার-চেঁচামেচি-জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে থাকে। আরো জানা গেল, পাঁচ-ছয় বছর বয়সে সে পরিবারের একজন সদস্য দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। রুবানা ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে case formulation করা হলো।

    ডায়াগনোসিস করা হলো Borderlile Personality Disorder (এক ধরনের ব্যক্তিত্বের অসঙ্গতি)। আমরা বললাম চিকিৎসা দু’ভাবে করতে হবে। কিছু ওষুধ লাগবে আর সেই সঙ্গে লাগবে সাইকোথেরাপি। রুবানার ক্ষেত্রে প্রয়োজন বিশেষ ধরনের সাইকোথেরাপি ডায়ালেক্টিক বিহেভিয়ার থেরাপি (Dialectic Behavior Therapy-DBT)।

    পরের সপ্তাহে চেম্বারে আরেকজন রোগী এসে হাজির। আরেফিন (আসল নাম নয়)। বয়স একুশ। নামকরা এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছে। তার উপসর্গ হলো- সবাই তার ক্ষতি করছে, খাবারে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে, মাইক্রোচিপস-এর সাহায্যে শিক্ষকরা তাকে ট্র্যাক করছে, ঘরে ক্যামেরা ফিট করে সর্বক্ষণ তাকে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। এসব উপসর্গের সঙ্গে আছে অস্বাভাবিক আচরণ।

    বাড়ির খাবার খায় না- নিজে রান্না করে অথবা কলা-বিস্কুট খেয়ে দিন পার করে। ঘুম নেই, সর্বদা ভীতসন্ত্রস্ত, কখনো কখনো হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যায়, মারতে আসে। গত সাত-আট মাস ধরে তার মধ্যে এই লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে। আমাদের ডায়াগনোসিস হলো সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia)। ওষুধ দিলাম। Antipsychotic medications।

    তিন সপ্তাহ পর ফলোআপে আসতে বললাম। অভিভাবকরা ওষুধ খাওয়াতে চান না- বলেন, ওষুধের তো অনেক
    পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কাউন্সিলিং করে ওর লক্ষণগুলো কমানো যায় না? ডক্টর আপনি একটু বুঝিয়ে বলুন না!

    ওর ভাবনাগুলো তো ঠিক নয়, আপনি কাউন্সিলিং করলেই ঠিক হয়ে যাবে, আপনার কথা ও ঠিক শুনবে।
    বর্তমানে আরেফিনের যে অবস্থা তাতে সে কাউন্সিলিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয়।

    সে তো বাস্তবতার সঙ্গেই নেই। আমি বোঝালেও সে তো বুঝবে না। আর কাউন্সিলিং সেশনে পঁয়তাল্লিশ মিনিট থেকে পঞ্চাশ মিনিট বসে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার ধৈর্যও তার নেই। তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে, অনেক সময়ে রোগের কারণে যে ক্ষতি হয় তা ওষুধ সেবনের চেয়ে অনেক বেশি।

    উল্লেখ্য, সব মানসিক রোগীর জন্য সবসময় সাইকোথেরাপি বা কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন (indication) নেই। যেসব রোগী সাইকোসিসের active উপসর্গ নিয়ে আসে, সে সময় আমরা সাইকোথেরাপি করার কথা বলি না। রোগীর আছে অলীক প্রত্যক্ষণ (hallucination), ভ্রান্ত ধারণা (delusion), হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া, violent আচরণ করা ইত্যাদি।

    পরবর্তীতে রোগের উপসর্গ কমে এলে (full/partial remission) প্রয়োজন হলে তাকে সাইকোথেরাপি/কাউন্সিলিং দেওয়া হয়। তবে সাইকোটিক রোগীর ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত সাপোর্টিভ (supportive) সাইকোথেরাপি দিয়ে থাকি।

    ক্লায়েন্টের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সামাল দেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়, coping mechanism বাড়াতে সাহায্য করা হয় ইত্যাদি। দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম কীভাবে সম্পন্ন করবে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এসব নিয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়। এসব রোগীর সাইকোথেরাপির সময় সাধারণত মনের খুব গভীরে গিয়ে কাজ করা হয় না।

    সাইকোথেরাপি কী বা কাউন্সিলিং কী? এ দুটো শব্দকে প্রায়ই synonym হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাইকোথেরাপি চিকিৎসায় ডাক্তার-রোগী/ক্লায়েন্ট- থেরাপিস্ট সম্পর্ককে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়। থেরাপিস্টের কর্মদক্ষতা (competence), যোগাযোগের দক্ষতা (communication skill) খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞ সাইকোথেরাপির মাধ্যমে নানারকম কনফ্লিক্ট দূর করে ক্লায়েন্টকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন।

    সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ক্লায়েন্ট তার সমস্যা সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজেই তার সমাধানের উপায় খুঁজে বের করে নেন। সাইকোথেরাপি বা কাউন্সিলিং করার সময় কিছু এথিকস মেনে চলতে হয়। কোনো অবস্থাতেই রোগীর/ক্লায়েন্টের কোনো ক্ষতি করা যাবে না।

    সর্বদা তার যেভাবে ভালো হয় (for best interest of the patients/clients) সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ক্লায়েন্টের মতামতকেও (autonomy of the client) প্রাধান্য দিতে হবে। অযথা প্রভাব (undue influence) বিস্তার করা একেবারেই ঠিক নয়।

    ক্লায়েন্টের সব তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা (to main- tain confidentiality) করতে হবে। এ ব্যাপারে তাকে প্রতিটি সেশনে নিশ্চিত করতে হবে। গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি ক্লায়েন্টের বিশেষ সুবিধা বা অধিকার (privilege of patient) এবং ডাক্তারের দায়িত্ব (responsibility)।

    তাছাড়া রোগীকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তার প্রতি সহমর্মী হতে হবে। একটা বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে, ডাক্তার- রোগী/ক্লায়েন্ট-থেরাপিস্ট সম্পর্ক হতে হবে profes- sional অর্থাৎ পেশাদার।

    ক্লায়েন্ট-থেরাপিস্ট দীর্ঘ সময় সেশনে নানারকম interaction করে থাকেন। স্বভাবিকভাবেই একে অপরের প্রতি কিছু অনুভূতি (transference and countertransference) তৈরি হয়। এই অনুভূতিগুলো ভালোলাগা খারাপলাগা দু’রকমই হতে পারে। এই অনুভূতির প্রকাশ কিন্তু সর্বদা পেশাদার আচরণ মেনেই হতে হবে।

    ক্লায়েন্ট ও থেরাপিস্টের মধ্যে রোম্যান্টিক বা ব্যবসায়িক সম্পর্ক একেবারেই unchical। সাইকোথেরাপি বা কাউন্সিলিংয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোগের বিভিন্ন কারণ ও সেই সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যা প্রদান করা (interpreta- tion)।

    এই ব্যাখ্যা বা interpretation সাইকোথেরাপি সেশনে সঠিক সময়ে সঠিক পরিস্থিতিতে দিতে হবে। ক্লায়েন্ট যখন সেটা গ্রহণ করতে পারবে, তখনই যেন সেটা দেওয়া হয়। আগেভাগে প্রিম্যাচিউরলি দেওয়া একেবারেই ঠিক হবে না। তাতে রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের আরো বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। সেই সঙ্গে সেশনের প্রতি রেজিস্ট্যান্সও হতে পারে।

    একটু উদাহরণ দিয়ে বলা যাক, রিনি (আসল নাম নয়) এ লেভেলে পড়ছে। হঠাৎই তার হাত-পা অবশ হয়ে এলো। হিস্ট্রি নিয়ে জানা গেল পরীক্ষায় সে খুব খারাপ ফল করেছে। কিন্তু সেটা সে বাসায় জানায়নি। বরং পরিবারের সবাই জানে, সে ভালোভাবেই পাস করেছে। সেই সঙ্গে আছে তার অনেক বন্ধু-বান্ধব।

    ফেসবুক, মোবাইলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার জন্য মা অনেক বকাবকি করেছে। এরপর থেকেই তার নানা উপসর্গ শুরু হয়। থেরাপিস্ট কিন্তু সহজেই রোগের কারণ বুঝতে পারে কিন্তু রোগী হয়তোবা এই ব্যাখ্যা নেওয়ার জন্য এখনই প্রস্তুত নয়। বরং ব্যাখ্যা দিলে রিনি রেগে যেতে পারে, থেরাপিস্টকে অপছন্দ করতে পারে, সেশন বন্ধও করে দিতে পারে। একজন অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট সহজেই বুঝতে পারেন রোগী কখন ব্যাখ্যা গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত।

    সাধারণত দু’রকমভাবে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করা হয়- ওষুধ ও সাইকোথেরাপি। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে ওষুধই প্রধান ভূমিকা রাখে আবার অন্য রোগীদের ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপির ভূমিকা বেশি। এবারে জেনে নেওয়া যাক সাইকোথেরাপির প্রয়োজনীয়তা কী? কাকেইবা আমরা সাইকোথেরাপি করতে বলব?

    ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তা, মাদকাসক্তি, পরিবারের নানা জটিলতা, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্ব, পরীক্ষা ভীতি, হতাশা, বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ইত্যাদি বিষয়ে সাইকোথেরাপি চিকিৎসা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

    তবে এটা মনে রাখতে হবে, রোগী ভেদে বিশেষ বিশেষ ধরনের সাইকোথেরাপি দেওয়া প্রয়োজন। বেশ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আমরা সাইকোথেরাপি বা কাউন্সিলিং দেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে করি না। যেমন গুরুতর মানসিক রোগী অর্থাৎ সিজোফ্রেনিয়া, একিউট সাইকোসিস, ম্যানিয়া, অরগ্যানিক ব্রেন ডিজিজ (schizophrenia, acute psychosis, mania, organic brain disease)।

    আহারজনিত সমস্যা যেমন anorexia nervosa, তীব্র বিষণ্ণতা (severe depression), ব্যক্তিত্বের অসঙ্গতি (severe person- ality disorder) ইত্যাদি। কারো মধ্যে যদি আত্মহত্যার প্রবণতা বা পরিকল্পনা থাকে, তাকেও কিন্তু সেই মুহূর্তে শুধু কাউন্সিলিং দিয়ে কাজ হবে না।

    এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে এবং সেই সঙ্গে দরকার সমন্বিত চিকিৎসা সেবা। মাদকাসক্ত রোগীদের আমরা কাউন্সিলিং সেবা দিয়ে থাকি কিন্তু মনে রাখতে হবে, রোগীকে প্রথমেই মাদকমুক্ত (med- ical detoxification) করতে হব।

    অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য গ্রহণ করার সময় রোগী সাইকোথেরাপি সেশনে একেবারেই মনোযোগী হতে পারে না। সাইকোথেরাপি বা কাউন্সিলিং মানসিক রোগীদের জন্য একটা কার্যকর চিকিৎসা সেবা। অনেকেই মনে করেন সাইকোথেরাপির কোনো খারাপ দিক নেই।

    সত্য হলো, সাইকোথেরাপিরও কিছু নেতিবাচক দিক আছে। থেরাপিস্টের দক্ষতা, তার ব্যক্তিত্ব, ডাক্তার- রোগী/ক্লায়েন্ট-থেরাপিস্ট সম্পর্ক, প্রিম্যাচিউর inter-pretation, ত্রুটিযুক্ত থেরাপি কৌশল ইত্যাদি ফ্যাক্টর রোগী/ক্লায়েন্টের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

    সাইকোথেরাপি সেশনে অন্তর্ভুক্তির জন্য ক্লায়েন্টের ইতিবাচক মানসিক অন্তর্দৃষ্টি ও প্রেরণা থাকা খুব প্রয়োজন। আরো মনে রাখতে হবে, সেশনে ভায়োলেন্স কখনোই কাম্য নয়।

    • এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন-Prof. Dr. Shalahuddin Qusar Biplob
    • চেম্বার – MK4C -মনের খবর ফর কেয়ার
      মগবাজার রেইল গেইট।
      নাভানা বারেক কারমেলা, লিফটের ৩,
      (ইনসাফ কারাকাহ হাসপাতালের বিপরীতে)।
      চেম্বার সিরিয়াল – ০১৮৫৮৭২৭০৩০
    • আরো পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়া শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো না খারাপ

    মনের খবর মনেরখবর মানসিক চাপ মানসিক রোগ মানসিক সমস্যা মানসিক স্বাস্থ্য
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleসব সময় মন খারাপ থাকা
    Next Article আমি ইন্ট্রোভার্ট- এজন্য কেউ কেউ বলে বলদ
    Moner Khabor

    Related Posts

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    October 14, 2025

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    October 13, 2025

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    October 13, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 14, 2025

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেল…

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.