কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং স্থানীয় জনসাধারণের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মানসিক সাস্থসেবাকে প্রাথমিক সাস্থসেবায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে একাধিক সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে EU Civil Protection & Humanitarian Aid (ECHO)-এর সহায়তায়।
এই কর্মসূচির আওতায় ৭৮ জন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যার মধ্যে ৩৮ জন চিকিৎসক এবং ৪০ জন মনোসামাজিক পরামর্শদাতা—হাতে-কলমে ব্যবহারিক অনুশীলনসহ তিন দিনের Mental Health Gap Action Programme (mhGAP) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, আরো ১০৬ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী দুই দিনের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। যার ফলে তাদের দক্ষতা ১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আরও কার্যকর করতে ৮৪ জন mhGAP-প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মীকে অনসাইট সহায়ক তত্ত্বাবধান বা সাপোরটিভ সুপারভিশন দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা সনাক্ত ও চিকিতসায় আরও সক্ষম হয়ে উঠছেন, যা রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ স্থানীয়দের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)- এর ন্যাশনাল কন্সাল্ট্যান্ট, NCD & Mental Health হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহরিয়ার ফারুক এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন ।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শরণার্থী শিবির ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনসাধারণের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের মানসিক সাস্থের উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। WHO ও ECHO এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং ভবিষ্যতেও এমন মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।
তথ্যসূত্র- World Health Organization, Bangladesh ফেসবুক পেইজ