চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীদের মতে, যৌন ও পর্নগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তির চিন্তা বা ভাবনার ওপর কোন নিয়ন্ত্রন থাকেনা। নিয়ন্ত্রনহীন চিন্তার জায়গাটি নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। এ ধরনের আচরনের ফলে ব্যক্তি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। ফলে প্রাত্যহিক জীবনে নানা জটিলতায় ভোগে। কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বিষন্নতা, উদবিগ্নতা, লজ্জাবোধ, একাকীত্ব, অর্থনৈতিক সমস্যা, আইনগত সমস্যা ইত্যাদি।
উপায় সমূহ:
- যৌন ও পর্নগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তি নিজের অনুভূতি এড়ানোর জন্য যৌন কল্পনা ও হস্তমৈথুনের সহায়তা নিয়ে থাকে।
- মানসিক অস্বস্তি থেকে দূরে থাকার জন্য যৗন ও পর্নগ্রাফির সহায়তা নেয়।
- আসক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক রোমান্টিক যৌনতায় অস্বস্তিবোধ করে এবং জীবনের অন্যান্য দিকগুলোকে অবহেলা করে।
- অহেতুক সময় নষ্ট করে ও অমনোযোগী হয়ে থাকে।
- ব্যক্তি আত্ন-মর্যাদা বোধ সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকে। সাময়িকভাবে নিজেকে স্বয়ং-সম্পূর্ন মনে করে।
- যৌনতা ও পর্নগ্রাফি উত্তেজনার আতিশয্যের জন্য যৗন ও পর্নগ্রাফির সহায়তা নেয়। এবং নিয়মিত বাড়তে থাকা শূন্যতা পূরন করে।
- আসক্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিক যৌনতা, ভালবাসা ও স্নেহ এই বিষয় গুলোর পার্থক্য খুঁজে বের করতে রীতিমত সংগ্রাম করে।
- যৌনতা ও পর্নগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তিরা সাধারনত আবেগশূন্য ও অবমাননাকর সঙ্গীকে আকৃষ্ট করে।
- যৌনতা ও পর্নগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তিরা যখন কোন সম্পর্কে জড়িত থাকে তখন একরকম রুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে থাকে। আবার সম্পর্ক না থাকলে তারা শূন্যতা ও অসম্পূর্ন বোধ করে।
- আসক্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই সত্যিকার অর্থে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ানো অসম্ভব মনে করে।
- আসক্ত ব্যক্তিরা যখন কোন সম্পর্কে থাকে তখন সেটাতে সন্তুষ্ট থাকে না। আরো অন্য মানুষ বা সম্পর্কে জড়াতে চায় বারবার।
- আসক্ত ব্যক্তি যত সম্পর্কের মধ্যেই থাকুক না কেন সে সর্বদা একাকীত্ব বোধ করে।