জুরিদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা কীভাবে মিথ্যাবাদিকে চিহ্নিত করে, তারা বলে যে, তারা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এটা অর্জন করেছে অনেকদিন ধরে মানুষের ব্যবহার দেখে এবং অনেক সিনেমা দেখে। তবে সিনেমা দেখে শেখাটা খুব একটা অর্থবোধক না-ও হতে পারে, কারণ সিনেমা সত্যিভাবে বিষয়কে তুলে ধরতে পারে না।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা বা জুরিরা মিথ্যাবাদীকে চিনতে পারার জন্য একটা কমন পদ্ধতি অবলম্বন করি, তা হলো মানুষের কথা বলার ধরন দেখে ও শুনে।
১। প্রসঙ্গ ছাড়া কথা বলা
যদি আপনি জানতে চান আপনার সাথের ব্যক্তিটি মিথ্যা বলছে কি-না; তবে তার কথা বলার প্রতি বেশি দৃষ্টি দিন, শারীরিক অঙ্গভঙ্গির দিকে নয়। কারণ গবেষণা বলে যে, মানুষের কথা শুনে বেশি ভালোভাবে মিথ্যা/ সত্যি বোঝা যায়।
২। যখন শোনাটাই বিশ্বাস করা
পরিচিত পরিস্থিতিতে আমরা বেশি ভালভাবে মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করতে পারি অপরিচিত কোনো পরিস্থিতির চেয়ে। এটা দেখা যায় যে, পরিচিত পরিবেশে মানুষ বেশি কথা বলে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে আর অপরিচিত পরিবেশে মানুষ কথা কম বলে শারীরিক অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে।
অনেকসময়, মিথ্যাবাদিতা চিহ্নিত করা বক্তার কথা বলার অভ্যাসের উপর নির্ভর করে।
৩। কণ্ঠস্বরের নির্ভুলতা
মানুষ মিথ্যা বলার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোরে কথা বলে।
৪। বাজে/ পাষণ্ড আচরণ কি সত্যতাকে নির্দেশ করে?
যারা কথায় স্ল্যাং ব্যবহার করে, তাদেরকে মানুষ বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করে, এটা পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। স্ল্যাং ব্যবহার করা নারীরা কম বিশ্বাসযোগ্য।
৫। সত্যি বিশ্বাসকারী এবং মিথ্যা আশাবাদী
কিছু মানুষ আছে যারা সবকথাই বিশ্বাস করে, আর কিছু মানুষ কাউকেই বিশ্বাস করতে পারে না। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা মানে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে বাস করা। মিথ্যাবাদীকে চিনতে হলে চোখ কান দুই-ই খোলা রাখতে হবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে ডটকমে প্রকাশিত Wendy L. Patrick এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুস্মিতা বিশ্বাস।
লিংক: https://www.psychologytoday.com/us/blog/why-bad-looks-good/201804/sound-too-good-be-true-recognizing-the-sound-lie?utm_source=FacebookPost&utm_medium=FBPost&utm_campaign=FBPost