মানসিক চাপ নেবার বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মানুষেরই একটা নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। যার কিছুটা জন্ম থেকে পাওয়া বা জন্মগত, কিছুটা প্রকৃতি থেকে শেখা। সবার ক্ষেত্রে তা সমান নয়। এমনকি সব কাজের ক্ষেত্রেও সমান নয়। একজন মানুষ যে বিষয়ে যে পরিমাণ চাপ নিতে পারবে। দেখা যাবে সেই মানুষটিই আবার অন্য ক্ষেত্রে সে পরিমাণ চাপ নিতে পারছেন না। তারপরও কিছু কিছু বিষয় তো থাকেই যা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই সমস্যা করতে পারে।
সেসবের আবার শ্রেণিবিন্যস্তও করা যায়। সেভাবে বলতে গেলে বলা যাবে-
• আকস্মিক চাপ: হঠাৎ করে চলে আসা কোন ঘটনা ঘটলে তা মোকাবেলা করতে গিয়ে যে চাপ সৃষ্টি হয়।
• চলমান বা দীর্ঘমেয়াদি চাপ: অনেক দিন ধরে চলতে থাকা কোনো চাপ, মনোরোগ বিদ্যায় এর নাম Chronic stress ।
• নৈমিত্তিক চাপ: প্রতিদিনের চলমান জীবনের কাজ করতে গিয়ে যে সমস্ত বিষয় মানুষকে বিভিন্নভাবে চাপে ফেলে।
• অনুমেয় চাপ: আর এক ধরনের চাপ এর কথা বলা যায়, যা মানুষ নির্দিষ্ট কাজ বা ঘটনার আগে থেকেই অনুভব করতে থাকে। অর্থাৎ কোন একটা নির্দিষ্ট ঘটনা বা কাজের পূর্বেই ভাবতে থাকেন-যদি এমন সমস্যা হয়, যদি আমি না পারি। অনেক ‘যদি’ আর আশঙ্কা মনের মাঝে আসতে থাকে। যাকে Anticipatory anxiety or apprehension বলা হয়ে থাকে। এটির অনেক কারণ থাকলেও প্রধান কারণ মানুষটির ব্যক্তিত্ব। যা Anxiety prone personality এর-সাথে সম্পর্কযুক্ত।
মানসিক চাপের প্রভাবে যে ধরনের মানসিক রোগ হতে পারে-
Acute stress disorder, Post traumatic stress disorder, Depression, Anxiety disorders, Panic disorder, Sexual dysfunction, Obsessive Compulsive Disorder, Adjustment Disorder, Conversion Disorder, Somatic Symptom and Related Disorders, Dissociative Disorders, Sleeping Disorders, Substance-Related and Addictive Disorders, School Phobia, Social Phobia সহ চাপ সংশ্লিষ্ট মানসিক রোগ হতে পারে।
শিশু কিংবা বৃদ্ধসহ বয়স এবং নির্দিষ্ট বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য ভেদে, বিশেষ ধরনের বাড়তি সমস্যাও দেখা যেতে পারে। বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী এমন বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এমন কিছু সমস্যা হতে পারে, যা সব সময় সঠিক নিয়ম মেনে নাও হতে পারে।
সেই সাথে অন্য যেকোনো মানসিক রোগ কিংবা যেকোনো রকমের শারীরিক রোগের তীব্রতাও বাড়তে পারে। বিশেষ করে যে সব শারীরিক রোগ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, সেসবের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।