ভয়াবহ পর্যায়ে ডিভাইস আসক্তি

0
16
ভয়াবহ পর্যায়ে ডিভাইস আসক্তি

ডা. মুনতাসীর মারুফ
সহযোগী অধ্যাপক
কমিউনিটি এন্ড সোশ্যাল সাইকিয়াট্রি বিভাগ
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

ভালোবেসেই বিয়ে হয়েছিল সাইফ—সোমার। বেশ কিছু বছর ধরে সুখেই ছিল তারা। আর্থিক উন্নতির সাথে সাথে একদিন সাইফের হাতে আসে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, পরিচিতি ঘটে ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে। তার সামনে খুলে যায় এক নতুন জগৎ। ধীরে ধীরে অন্তর্জালের মায়াবী জগৎ আর ‘চ্যাটিং’ হয়ে ওঠে তাদের ধ্যান—জ্ঞান। চাকুরীর সময়টুকু বাদে সাইফের বেশিরভাগ সময় কাটে মোবাইল হাতে। সাইফ—সোমার মধ্যে কথা কম হয়, রাতে সাইফ শুতেও যায় মোবাইল হাতে। ঘুমাতে দেরি হয়, ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও দেরি। দাম্পত্য জীবনেও ফাটল ধরে। সাইফের অতিরিক্ত মোবাইল আর ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে প্রতিদিন তাদের মাঝে খিটিমিটি লেগেই থাকে। সোমা বহুবার চেষ্টা করে সাইফের এই নেশা ছাড়াতে। কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয় না। সে বরং বলে— মোবাইল আর ইন্টারনেট এখন তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে এটা ছাড়তে পারবে না, এমনকি স্ত্রী—সন্তানের জন্যেও না।

ষোড়শী ফারিয়ার কাহিনীটি আরও উদ্বেগের। দুই বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে ১২—১৫ ঘন্টা বাড়িতেই থাকে ফারিয়া, মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপ নিয়ে। এমনও হয়েছে, দিন—রাত টানা সে রয়েছে ভার্চুয়াল জগতে। শুরুর পর ধীরে—ধীরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় বাড়তে থাকে তার, একসময় পুরোপুরিই সময়ের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সর্বক্ষণ যেকোেনো ডিভাইসে বা ডিভাইস সংক্রান্ত চিন্তায় ডুবে থাকে সে। এমনকি দু’বছর ধরে স্কুলে পর্যন্ত যায় না। এই অতিমাত্রায় ডিভাইস ব্যবহারের কারণে মা—বাবা কিছু বললে সে খুবই রেগে যায়। কয়েকবার এ কারণে মা’কে মারধর পর্যন্ত করেছে সে।

কি এমন আছে এই মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপের মতো ডিভাইসগুলোতে? কেন এর মায়াচক্রে মানুষ আটকে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা? মূলত এই ডিভাইসগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারার সুবিধাই আসক্তির অন্যতম কারণ। অনেকগুলো বিষয় ইন্টারনেটকে করে তুলছে এতটা আকর্ষক। অন্যতম হচ্ছে — মাল্টিমিডিয়া।Magazine site ads

মাল্টিমিডিয়া সংশ্লিষ্ট অসংখ্য বিষয় পাওয়া যাচ্ছে ইন্টারনেটে, যা টেলিভিশন দেখার মতো অনুভূতি সৃষ্টি করছে মনে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ যখনই চাইছে, তখনই ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারছে। সপ্তাহের সাত দিনই, দিনের চব্বিশ ঘন্টাই ইন্টারনেট তার দ্বার খুলে রেখেছে। দিনে— রাতে যেকোনো সময় মানুষ সহজেই প্রবেশ করতে পারছে অন্তর্জালের জগতে। বাস্তব জগতে ইচ্ছেমতো কিছু করতে গেলে যেসব বাধা আসে, ভার্চুয়াল জগতে সেই বাধা নেই বললেই চলে। মানুষ ভার্চুয়াল মহাসড়কে উঠে যেখানে মন চায় যেতে পারছে, সেখানে যা করা সম্ভব করতে পারছে বিনা বাধায়। এছাড়া তথ্যের অবাধ আদান—প্রদান, নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয়, বিষয়—বৈচিত্র্য তো রয়েছেই।

ফলে, ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। ইন্টারনেট এখন যুগের চাহিদা। মোবাইলসহ যেকোনো ডিভাইস থেকে সহজেই ব্যবহার করা যাচ্ছে ইন্টারনেট। কাজের পাশাপাশি অকাজে বা বিনা কাজেও নেটে থাকছে মানুষ। একটা সময় ব্যবহারের মাত্রা বাড়তে বাড়তে তা চলে যাচ্ছে আসক্তির পর্যায়ে। আসক্তরা সাধারণত প্রথমে বুঝতে পারে না অথবা স্বীকার করতে চায় না যে সে আসক্ত। আশপাশের মানুষরা তা টের পায়। আসক্তির লক্ষণ—উপসর্গগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ বিষয় রয়েছে যা থেকে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যে আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে তা বোঝা যায়।

আসক্ত ব্যক্তি প্রায় প্রতিদিনই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেটে বসার পর সময়জ্ঞান বলতে কিছু থাকে না তার। হয়তো বসার আগে ভাবলেন, এইতো পাঁচ মিনিটের জন্য বসছি, মেইলটা চেক করেই সাইন—আউট করবো। বসার পর কখন ঘন্টা পেরিয়ে যায়, খবরই থাকে না। সাধারণত আসক্তরা ইন্টারনেটে কয়েক ধরনের কাজে বেশি ডুবে থাকে— অনলাইন গেম খেলতে খেলতে কারো সময় কেটে যায়, কেউ সুপ্ত অথবা বিকৃত যৌনাকাক্সক্ষা মেটাতে বিরতিহীন ঘুরে বেড়ায় পর্ণোগ্রাফি—সংক্রান্ত সাইটগুলোতে, বাস্তব জীবনে লাজুক—অন্তর্মুখী কেউ নতুন বন্ধুদের নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন আড্ডায় মেতে ওঠে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে, ইন্টারনেট শপিং হয়ে ওঠে কারো ধ্যান—জ্ঞান, কেউবা এমনিতেই ঘুরে বেড়ায় সাইবার দুনিয়ার অলি—গলিতে। ভাচুর্য়াল জগতে থাকাকালীন বাস্তবের কেউ যদি সেই সময়ে ভাগ বসায়, ধরুন, বাবা বা মা কোনো কথা বলতে আসেন বা মোবাইল ফোনটা বেজে ওঠে, তাহলে আসক্ত ব্যক্তির মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ওঠে।

অনলাইনে সময় কাটানোর কারণে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাতে সময়মতো উপস্থিত হওয়া যায় না। অন্যরা যখন অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ির পথ ধরে, তখনও আসক্ত ব্যক্তি ঐ দিনের কাজ গুছিয়ে উঠতে পারেন না। বাসার দৈনন্দিন কাজেও অবহেলা করতে শুরু করেন তিনি। কাপড়টা হয়তো লন্ড্রীতে দেয়া দরকার— দেয়া হয় না। প্রাত্যহিক বাজার করতে বের হওয়া হয় না স্বামীর, ফলে যা আছে তা দিয়েই কোনোমতে রাতের খাবারটা হয়তো চালিয়ে নিতে হয় স্ত্রীর। ব্যক্তি ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হতে থাকেন বাস্তব সমাজ থেকে। ওদিকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মতো সাইটগুলোতে তার সরব পদচারণা।

সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে ব্যক্তির উপস্থিতি কমতে থাকে, পাশের বাড়ির বন্ধুটির সাথে বিকেলে আর বাইরে বের হওয়া হয় না, ‘অনলাইন’ বন্ধুরাই হয়ে ওঠে প্রিয় সঙ্গী। অনেকেই এক এক সময় বুঝতে পারেন যে বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে যাচ্ছে। তারা ইন্টারনেটে কাটানো দৈনিক সময়ের পরিমাণ কমাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু খুব একটা সফল হন না। ‘কতক্ষণ নেটে ছিলে ?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে সময় কমিয়ে বলেন। ‘কি করছিলে?’— এর উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বা মিথ্যে বলতে শুরু করেন।

ইন্টারনেট ছাড়াও ডিভাইস—এ আরও বেশ কিছু কাজে অনেকে আসক্ত হয়ে পড়েন। কেউ ডিভাইসে গেম খেলে সময় কাটান, কেউ গান শোনা—দেখা, কেউবা রাত—দিন সিনেমা—নাটক—সিরিয়াল দেখতে থাকেন ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইলে।

ডিভাইস বা ইন্টারনেটে এই বাড়াবাড়ি রকমের সময়ক্ষেপনকে আমরা ‘আসক্তি’ বলবো কেন? অ্যাডিকশন (অফফরপঃরড়হ) বা আসক্তি তো একটি ব্যাধি। ডিভাইস বা ইন্টারনেটের কারণে ব্যক্তির এই পরিবর্তন কি ব্যাধি? আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অনেক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর মতে, তা—ই। ‘আসক্তি’ আমরা কখন বলি? যখন মানুষ কোনো কিছুতে, তা ভাল—মন্দ যা—ই হোক, অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে অর্থাৎ কোনো কিছুর প্রতি ‘ডিপেনডেন্স’ (উবঢ়বহফবহপব) তৈরি হয়। একই সাথে তৈরি হয় টলারেন্স (ঞড়ষবৎধহপব), অর্থাৎ একই সমান তৃপ্তির জন্য ধীরে ধীরে ওই ‘কিছু’র পরিমাণ বাড়াতে হয়। এবং সেই ‘কিছু’র প্রতি এই ‘ডিপেনডেন্স’ এবং ‘টলারেন্স’ যখন মানুষের জীবনের নানাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে থাকে। যেমন, আমরা বলে থাকি মাদকাসক্তির কথা। মাদক নেয়ার পর ব্যক্তির মনে আনন্দের অনুভূতি হয়। ধীরে ধীরে ব্যক্তি আনন্দের জন্য মাদকের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

একই তীব্রতার আনন্দের অনুভূতির জন্য ধীরে ধীরে বাড়াতে হয় মাদকের পরিমাণ। মাদক সংগ্রহ ও গ্রহণকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় ব্যক্তির চিন্তা ও দৈনন্দিন জীবন। ধ্বংস হতে থাকে শিক্ষাজীবন, ব্যর্থতা বাড়তে থাকে কর্মক্ষেত্রে, সামাজিক জীবন বলতে কিছুই থাকে না আর। একই ঘটনা আমরা দেখতে পাই মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। মোবাইল—আসক্তদেরও তৈরি হয় ‘টলারেন্স’।

প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়তে থাকে মোবাইল বা ইন্টারনেটে কাটানো সময়ের পরিমাণ। মানসিকভাবে এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তারা। মোবাইল হাত থেকে সরিয়ে রাখার পর থেকে মাথায় একই চিন্তা ঘুরতে থাকে— কখন আবার মোবাইল হাতে নেব, নেটে ঢুকবো, ঢোকার পর কি করবো, কিভাবে করবো ইত্যাদি।

বেশিক্ষণ ডিভাইস ছাড়া থাকলে বা অফলাইন থাকলে তাদের মাঝে অস্থিরতা,দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়, মাদকাসক্তদের যেমন কয়েক ঘন্টা মাদক না নিলে দেখা দেয় শারীরিক—মানসিক নানা উপসর্গ বা ‘উইথড্রল সিম্পটম’— চলতি বাংলায় আসক্তরা যাকে বলে ‘ব্যাড়া ওঠা’। মাদক আবার গ্রহণ করলেই যেমন উইথড্রল সিম্পটম চলে যায়, ডিভাইস—আসক্তরা আবার মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপ হাতে পেলেই স্বস্তিবোধ করে। অনেক মাদকাসক্ত যেমন বাস্তব জীবনের বেদনা—কষ্টকে ভুলে থাকতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও অন্য জগতে হারিয়ে যাওয়ার জন্য মাদকের আশ্রয় নেয়, তেমনই এই ডিভাইসের ভার্চুয়াল জগতও বাস্তব থেকে পালিয়ে ফ্যান্টাসিতে বুদ হয়ে থাকার অনন্য মাধ্যম।

অন্য যেকোনো আসক্তির মতোই ডিভাইস—আসক্তিও মানুষের বাস্তব জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রথম যে সমস্যাটি দেখা দেয়, তা হচ্ছে স্বামী বা স্ত্রী, প্রিয়জন, বাবা—মা বা বাস্তবের বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের অবনতি। যেহেতু আসক্তরা দিনের বেশির ভাগ সময় একাকী ঘরের কোণে কাটায়, ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় ওয়েবে, তারা প্রিয়জনদের সময় দেয় কম। এ নিয়ে ঝগড়া, বিতন্ডা; আসক্ত ব্যক্তি তার ডিভাইসে বা ইন্টারনেটে কাটানো সময় ও কৃত কাজের ব্যাপারে মিথ্যা বলা শুরু করে, এ নিয়ে দেখা দেয় পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট। অনেক রাত জেগে মোবাইল চালানো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনিদ্রা জন্ম দেয় আরও নানা শারীরিক—মানসিক উপসর্গের।

মোবাইল বা যেকোনো ডিভাইস অনেকেই ব্যবহার করেন। সবাই আসক্ত নন, সবাই আসক্ত হননা। কারও কারও ক্ষেত্রে ডিভাইস এবং ইন্টারনেট তাদের কাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার প্রভৃতি রোগে ভোগেন তাদের আসক্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

একাকীত্ব, অসুখী দাম্পত্য, পেশাগত চাপ, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, কর্মহীনতা, শারীরিক আকৃতি নিয়ে হীনম্মন্যতা, আত্মবিশ্বাসের অভাবও ব্যবহারকারীকে আসক্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে। অধিকাংশ গবেষকই একমত যে, দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা থেকে পলায়নমুখী মানসিকতাই আসক্তির জন্ম দেয়। সেই সমস্যা হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত বা শিক্ষাগত। আসক্তি অবশ্য ওই সমস্যার কোনো সমাধান নয়। কিন্তু তারপরও মানুষ সেখানে আশ্রয় খেঁাজে। কিশোর—কিশোরী এমনকি শিশুদেরও এই আসক্তির ঝঁুকি রয়েছে। যারা বাবা—মার তত্ত্বাবধান ছাড়া অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পায়, তাদের আসক্তির ঝঁুকি বেশি।

এসব কারণে এখন প্রশ্ন উঠেছে, সিগারেটের প্যাকেটে যেমন সতর্কীকরণ লেখা থাকে— ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ধূমপান মৃত্যু ঘটায়, ধূমপান ক্যান্সারের কারণ ইত্যাদি; তেমনই মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপের গায়েও এর আসক্তির আশংকাটুকু লিখে ব্যবহারকারীকে সাবধান করার কোনো ব্যবস্থা কি নেয়া উচিত? এটাতো সবাই দেখতে—বুঝতে পারছেন। ঘরে—বাইরে কাজের সময় অনেকেই অকারণে মোবাইলে থাকছেন সর্বক্ষণ, শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে বসে মোবাইল ফোনে লগ—ইন করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বাড়াচ্ছে আসক্তির ঝুঁকি। সাবধান হওয়ার সময়ও কি পার হয়ে গেছে?

Previous articleসাইকিয়াট্রি বিভাগের ডিসেম্বর মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here