Close Menu
    What's Hot

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Saturday, October 18
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 14, 2025

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      Recent

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » ভয়াবহ পর্যায়ে ডিভাইস আসক্তি
    ফিচার

    ভয়াবহ পর্যায়ে ডিভাইস আসক্তি

    Moner KhaborBy Moner KhaborDecember 3, 2024No Comments7 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    ভয়াবহ পর্যায়ে ডিভাইস আসক্তি
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    ডা. মুনতাসীর মারুফ
    সহযোগী অধ্যাপক
    কমিউনিটি এন্ড সোশ্যাল সাইকিয়াট্রি বিভাগ
    জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

    ভালোবেসেই বিয়ে হয়েছিল সাইফ—সোমার। বেশ কিছু বছর ধরে সুখেই ছিল তারা। আর্থিক উন্নতির সাথে সাথে একদিন সাইফের হাতে আসে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, পরিচিতি ঘটে ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে। তার সামনে খুলে যায় এক নতুন জগৎ। ধীরে ধীরে অন্তর্জালের মায়াবী জগৎ আর ‘চ্যাটিং’ হয়ে ওঠে তাদের ধ্যান—জ্ঞান। চাকুরীর সময়টুকু বাদে সাইফের বেশিরভাগ সময় কাটে মোবাইল হাতে। সাইফ—সোমার মধ্যে কথা কম হয়, রাতে সাইফ শুতেও যায় মোবাইল হাতে। ঘুমাতে দেরি হয়, ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও দেরি। দাম্পত্য জীবনেও ফাটল ধরে। সাইফের অতিরিক্ত মোবাইল আর ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে প্রতিদিন তাদের মাঝে খিটিমিটি লেগেই থাকে। সোমা বহুবার চেষ্টা করে সাইফের এই নেশা ছাড়াতে। কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয় না। সে বরং বলে— মোবাইল আর ইন্টারনেট এখন তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে এটা ছাড়তে পারবে না, এমনকি স্ত্রী—সন্তানের জন্যেও না।

    ষোড়শী ফারিয়ার কাহিনীটি আরও উদ্বেগের। দুই বছর ধরে প্রতিদিন গড়ে ১২—১৫ ঘন্টা বাড়িতেই থাকে ফারিয়া, মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপ নিয়ে। এমনও হয়েছে, দিন—রাত টানা সে রয়েছে ভার্চুয়াল জগতে। শুরুর পর ধীরে—ধীরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় বাড়তে থাকে তার, একসময় পুরোপুরিই সময়ের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সর্বক্ষণ যেকোেনো ডিভাইসে বা ডিভাইস সংক্রান্ত চিন্তায় ডুবে থাকে সে। এমনকি দু’বছর ধরে স্কুলে পর্যন্ত যায় না। এই অতিমাত্রায় ডিভাইস ব্যবহারের কারণে মা—বাবা কিছু বললে সে খুবই রেগে যায়। কয়েকবার এ কারণে মা’কে মারধর পর্যন্ত করেছে সে।

    কি এমন আছে এই মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপের মতো ডিভাইসগুলোতে? কেন এর মায়াচক্রে মানুষ আটকে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা? মূলত এই ডিভাইসগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারার সুবিধাই আসক্তির অন্যতম কারণ। অনেকগুলো বিষয় ইন্টারনেটকে করে তুলছে এতটা আকর্ষক। অন্যতম হচ্ছে — মাল্টিমিডিয়া।Magazine site ads

    মাল্টিমিডিয়া সংশ্লিষ্ট অসংখ্য বিষয় পাওয়া যাচ্ছে ইন্টারনেটে, যা টেলিভিশন দেখার মতো অনুভূতি সৃষ্টি করছে মনে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ যখনই চাইছে, তখনই ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারছে। সপ্তাহের সাত দিনই, দিনের চব্বিশ ঘন্টাই ইন্টারনেট তার দ্বার খুলে রেখেছে। দিনে— রাতে যেকোনো সময় মানুষ সহজেই প্রবেশ করতে পারছে অন্তর্জালের জগতে। বাস্তব জগতে ইচ্ছেমতো কিছু করতে গেলে যেসব বাধা আসে, ভার্চুয়াল জগতে সেই বাধা নেই বললেই চলে। মানুষ ভার্চুয়াল মহাসড়কে উঠে যেখানে মন চায় যেতে পারছে, সেখানে যা করা সম্ভব করতে পারছে বিনা বাধায়। এছাড়া তথ্যের অবাধ আদান—প্রদান, নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয়, বিষয়—বৈচিত্র্য তো রয়েছেই।

    ফলে, ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। ইন্টারনেট এখন যুগের চাহিদা। মোবাইলসহ যেকোনো ডিভাইস থেকে সহজেই ব্যবহার করা যাচ্ছে ইন্টারনেট। কাজের পাশাপাশি অকাজে বা বিনা কাজেও নেটে থাকছে মানুষ। একটা সময় ব্যবহারের মাত্রা বাড়তে বাড়তে তা চলে যাচ্ছে আসক্তির পর্যায়ে। আসক্তরা সাধারণত প্রথমে বুঝতে পারে না অথবা স্বীকার করতে চায় না যে সে আসক্ত। আশপাশের মানুষরা তা টের পায়। আসক্তির লক্ষণ—উপসর্গগুলো ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ বিষয় রয়েছে যা থেকে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যে আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে তা বোঝা যায়।

    আসক্ত ব্যক্তি প্রায় প্রতিদিনই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেটে বসার পর সময়জ্ঞান বলতে কিছু থাকে না তার। হয়তো বসার আগে ভাবলেন, এইতো পাঁচ মিনিটের জন্য বসছি, মেইলটা চেক করেই সাইন—আউট করবো। বসার পর কখন ঘন্টা পেরিয়ে যায়, খবরই থাকে না। সাধারণত আসক্তরা ইন্টারনেটে কয়েক ধরনের কাজে বেশি ডুবে থাকে— অনলাইন গেম খেলতে খেলতে কারো সময় কেটে যায়, কেউ সুপ্ত অথবা বিকৃত যৌনাকাক্সক্ষা মেটাতে বিরতিহীন ঘুরে বেড়ায় পর্ণোগ্রাফি—সংক্রান্ত সাইটগুলোতে, বাস্তব জীবনে লাজুক—অন্তর্মুখী কেউ নতুন বন্ধুদের নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন আড্ডায় মেতে ওঠে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে, ইন্টারনেট শপিং হয়ে ওঠে কারো ধ্যান—জ্ঞান, কেউবা এমনিতেই ঘুরে বেড়ায় সাইবার দুনিয়ার অলি—গলিতে। ভাচুর্য়াল জগতে থাকাকালীন বাস্তবের কেউ যদি সেই সময়ে ভাগ বসায়, ধরুন, বাবা বা মা কোনো কথা বলতে আসেন বা মোবাইল ফোনটা বেজে ওঠে, তাহলে আসক্ত ব্যক্তির মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ওঠে।

    অনলাইনে সময় কাটানোর কারণে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাতে সময়মতো উপস্থিত হওয়া যায় না। অন্যরা যখন অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ির পথ ধরে, তখনও আসক্ত ব্যক্তি ঐ দিনের কাজ গুছিয়ে উঠতে পারেন না। বাসার দৈনন্দিন কাজেও অবহেলা করতে শুরু করেন তিনি। কাপড়টা হয়তো লন্ড্রীতে দেয়া দরকার— দেয়া হয় না। প্রাত্যহিক বাজার করতে বের হওয়া হয় না স্বামীর, ফলে যা আছে তা দিয়েই কোনোমতে রাতের খাবারটা হয়তো চালিয়ে নিতে হয় স্ত্রীর। ব্যক্তি ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হতে থাকেন বাস্তব সমাজ থেকে। ওদিকে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মতো সাইটগুলোতে তার সরব পদচারণা।

    সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে ব্যক্তির উপস্থিতি কমতে থাকে, পাশের বাড়ির বন্ধুটির সাথে বিকেলে আর বাইরে বের হওয়া হয় না, ‘অনলাইন’ বন্ধুরাই হয়ে ওঠে প্রিয় সঙ্গী। অনেকেই এক এক সময় বুঝতে পারেন যে বাড়াবাড়ি রকমের হয়ে যাচ্ছে। তারা ইন্টারনেটে কাটানো দৈনিক সময়ের পরিমাণ কমাতে চেষ্টা করেন, কিন্তু খুব একটা সফল হন না। ‘কতক্ষণ নেটে ছিলে ?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে সময় কমিয়ে বলেন। ‘কি করছিলে?’— এর উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বা মিথ্যে বলতে শুরু করেন।

    ইন্টারনেট ছাড়াও ডিভাইস—এ আরও বেশ কিছু কাজে অনেকে আসক্ত হয়ে পড়েন। কেউ ডিভাইসে গেম খেলে সময় কাটান, কেউ গান শোনা—দেখা, কেউবা রাত—দিন সিনেমা—নাটক—সিরিয়াল দেখতে থাকেন ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইলে।

    ডিভাইস বা ইন্টারনেটে এই বাড়াবাড়ি রকমের সময়ক্ষেপনকে আমরা ‘আসক্তি’ বলবো কেন? অ্যাডিকশন (অফফরপঃরড়হ) বা আসক্তি তো একটি ব্যাধি। ডিভাইস বা ইন্টারনেটের কারণে ব্যক্তির এই পরিবর্তন কি ব্যাধি? আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অনেক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর মতে, তা—ই। ‘আসক্তি’ আমরা কখন বলি? যখন মানুষ কোনো কিছুতে, তা ভাল—মন্দ যা—ই হোক, অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে অর্থাৎ কোনো কিছুর প্রতি ‘ডিপেনডেন্স’ (উবঢ়বহফবহপব) তৈরি হয়। একই সাথে তৈরি হয় টলারেন্স (ঞড়ষবৎধহপব), অর্থাৎ একই সমান তৃপ্তির জন্য ধীরে ধীরে ওই ‘কিছু’র পরিমাণ বাড়াতে হয়। এবং সেই ‘কিছু’র প্রতি এই ‘ডিপেনডেন্স’ এবং ‘টলারেন্স’ যখন মানুষের জীবনের নানাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলতে থাকে। যেমন, আমরা বলে থাকি মাদকাসক্তির কথা। মাদক নেয়ার পর ব্যক্তির মনে আনন্দের অনুভূতি হয়। ধীরে ধীরে ব্যক্তি আনন্দের জন্য মাদকের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

    একই তীব্রতার আনন্দের অনুভূতির জন্য ধীরে ধীরে বাড়াতে হয় মাদকের পরিমাণ। মাদক সংগ্রহ ও গ্রহণকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় ব্যক্তির চিন্তা ও দৈনন্দিন জীবন। ধ্বংস হতে থাকে শিক্ষাজীবন, ব্যর্থতা বাড়তে থাকে কর্মক্ষেত্রে, সামাজিক জীবন বলতে কিছুই থাকে না আর। একই ঘটনা আমরা দেখতে পাই মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। মোবাইল—আসক্তদেরও তৈরি হয় ‘টলারেন্স’।

    প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়তে থাকে মোবাইল বা ইন্টারনেটে কাটানো সময়ের পরিমাণ। মানসিকভাবে এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তারা। মোবাইল হাত থেকে সরিয়ে রাখার পর থেকে মাথায় একই চিন্তা ঘুরতে থাকে— কখন আবার মোবাইল হাতে নেব, নেটে ঢুকবো, ঢোকার পর কি করবো, কিভাবে করবো ইত্যাদি।

    বেশিক্ষণ ডিভাইস ছাড়া থাকলে বা অফলাইন থাকলে তাদের মাঝে অস্থিরতা,দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, খিটখিটে মেজাজসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়, মাদকাসক্তদের যেমন কয়েক ঘন্টা মাদক না নিলে দেখা দেয় শারীরিক—মানসিক নানা উপসর্গ বা ‘উইথড্রল সিম্পটম’— চলতি বাংলায় আসক্তরা যাকে বলে ‘ব্যাড়া ওঠা’। মাদক আবার গ্রহণ করলেই যেমন উইথড্রল সিম্পটম চলে যায়, ডিভাইস—আসক্তরা আবার মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপ হাতে পেলেই স্বস্তিবোধ করে। অনেক মাদকাসক্ত যেমন বাস্তব জীবনের বেদনা—কষ্টকে ভুলে থাকতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও অন্য জগতে হারিয়ে যাওয়ার জন্য মাদকের আশ্রয় নেয়, তেমনই এই ডিভাইসের ভার্চুয়াল জগতও বাস্তব থেকে পালিয়ে ফ্যান্টাসিতে বুদ হয়ে থাকার অনন্য মাধ্যম।

    অন্য যেকোনো আসক্তির মতোই ডিভাইস—আসক্তিও মানুষের বাস্তব জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রথম যে সমস্যাটি দেখা দেয়, তা হচ্ছে স্বামী বা স্ত্রী, প্রিয়জন, বাবা—মা বা বাস্তবের বন্ধুদের সাথে সম্পর্কের অবনতি। যেহেতু আসক্তরা দিনের বেশির ভাগ সময় একাকী ঘরের কোণে কাটায়, ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় ওয়েবে, তারা প্রিয়জনদের সময় দেয় কম। এ নিয়ে ঝগড়া, বিতন্ডা; আসক্ত ব্যক্তি তার ডিভাইসে বা ইন্টারনেটে কাটানো সময় ও কৃত কাজের ব্যাপারে মিথ্যা বলা শুরু করে, এ নিয়ে দেখা দেয় পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট। অনেক রাত জেগে মোবাইল চালানো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনিদ্রা জন্ম দেয় আরও নানা শারীরিক—মানসিক উপসর্গের।

    মোবাইল বা যেকোনো ডিভাইস অনেকেই ব্যবহার করেন। সবাই আসক্ত নন, সবাই আসক্ত হননা। কারও কারও ক্ষেত্রে ডিভাইস এবং ইন্টারনেট তাদের কাজেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিষণ্ণতা, উদ্বেগ, বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার প্রভৃতি রোগে ভোগেন তাদের আসক্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

    একাকীত্ব, অসুখী দাম্পত্য, পেশাগত চাপ, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, কর্মহীনতা, শারীরিক আকৃতি নিয়ে হীনম্মন্যতা, আত্মবিশ্বাসের অভাবও ব্যবহারকারীকে আসক্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে। অধিকাংশ গবেষকই একমত যে, দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা থেকে পলায়নমুখী মানসিকতাই আসক্তির জন্ম দেয়। সেই সমস্যা হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত বা শিক্ষাগত। আসক্তি অবশ্য ওই সমস্যার কোনো সমাধান নয়। কিন্তু তারপরও মানুষ সেখানে আশ্রয় খেঁাজে। কিশোর—কিশোরী এমনকি শিশুদেরও এই আসক্তির ঝঁুকি রয়েছে। যারা বাবা—মার তত্ত্বাবধান ছাড়া অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডিভাইস ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পায়, তাদের আসক্তির ঝঁুকি বেশি।

    এসব কারণে এখন প্রশ্ন উঠেছে, সিগারেটের প্যাকেটে যেমন সতর্কীকরণ লেখা থাকে— ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ধূমপান মৃত্যু ঘটায়, ধূমপান ক্যান্সারের কারণ ইত্যাদি; তেমনই মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপের গায়েও এর আসক্তির আশংকাটুকু লিখে ব্যবহারকারীকে সাবধান করার কোনো ব্যবস্থা কি নেয়া উচিত? এটাতো সবাই দেখতে—বুঝতে পারছেন। ঘরে—বাইরে কাজের সময় অনেকেই অকারণে মোবাইলে থাকছেন সর্বক্ষণ, শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে বসে মোবাইল ফোনে লগ—ইন করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বাড়াচ্ছে আসক্তির ঝুঁকি। সাবধান হওয়ার সময়ও কি পার হয়ে গেছে?

    • এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন-Prof. Dr. Shalahuddin Qusar Biplob
    • চেম্বার – MK4C -মনের খবর ফর কেয়ার
      মগবাজার রেইল গেইট।
      নাভানা বারেক কারমেলা, লিফটের ৩,
      (ইনসাফ কারাকাহ হাসপাতালের বিপরীতে)।
      চেম্বার সিরিয়াল – ০১৮৫৮৭২৭০৩০
    • আরো পড়ুন- ডিভাইসের অপব্যবহার মানসিক রোগের কারণ?

    মনের খবর মানসিক চাপ মানসিক রোগ মানসিক সমস্যা মানসিক স্বাস্থ্য
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleসাইকিয়াট্রি বিভাগের ডিসেম্বর মাসের বৈকালিক আউটডোর সূচি
    Next Article স্মার্টফোনের অতিব্যবহার মস্তিষ্ক ও মেমোরিকে আনস্মার্ট করে দিচ্ছে
    Moner Khabor

    Related Posts

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    October 14, 2025

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    October 13, 2025

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    October 13, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 14, 2025

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেল…

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.