হলিউড তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার ও বিষন্নতায় ভোগা তার একজন ভক্তের মধ্যে মেসেজ বিনিময়ের ঘটনা আলোড়ন তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মেসেজ বিনিময়ের ঘটনা অনেক মানুষকেই উদ্বুদ্ধ করেছে তাদের নিজেদের জীবনের বিষন্নতার গল্প প্রকাশ করতে।
আলি নামের এক ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম রেডিট’এ হলিউডের কিংবদন্তি তারকা শোয়ার্জনেগারকে একটি মেসেজ দিয়ে বিষন্নতার বিষয়ে কিছু অনুপ্রেরণামূলক কিছু উপদেশ দিতে অনুরোধ করেন।
মি. আলি মেসেজে লেখেন যে তিনি ‘কয়েক মাস ধরে বিষন্নতায় ভুগছেন’ এবং ব্যায়াম করা ছেড়ে দিয়েছেন।
কিন্তু আলি চিন্তাও করেননি যে সুপারস্টার শোয়ার্জনেগার তার মেসেজের উত্তর দিবেন। মেসেজের উত্তরে শোয়ার্জনেগার আলিকে ‘ছোট ছোট ধাপে’ সমস্যা সমাধান করার উপদেশ দেন।
আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের ভক্ত আলি গণমাধ্যমে বলেন, “মেসেজ পাওয়ার পর লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে আমার প্রথম চিন্তা ছিল কত তাড়াতাড়ি জিমে যেতে পারবো। মেসেজটি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে আমাকে।”
সামাজিক মাধ্যম রেডিট’এ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সাথে মি. আলি’র এই মেসেজ আদান প্রদানে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই তাদের নিজেদের বিষন্নতার গল্প প্রকাশ করেন।
মি. শোয়ার্জনেগারের মেসেজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মি. আলি অনেককেই সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছেন মেসেজ করে।
অধিকাংশ মানুষ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টিকে ভালভাবে নিলেও কয়েকজন এর সমালোচনা করেছেন এই বলে যে বিষন্নতার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান মেসেজের মাধ্যমে হয় না।
“আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের কাছ থেকে একটি মেসেজ পাওয়া অত্যন্ত অনুপ্রেরণার একটি বিষয় এবং ঐ মেসেজ পেয়ে জিমে যাওয়ার জন্য আমি দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ হই”, বলে এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন আলি।
মি. আলি আরো বলেন, “বিষন্নতার মত সমস্যা অবশ্যই এত সহজে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাকে হতাশা থেকে বের করার জন্য যে ধাক্কাটা দরকার ছিল, তা ঐ মেসেজ থেকে পেয়েছি আমি।”
রেডিট’এ মি. আলি ও অন্যান্যদের এই কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করে মি শোয়ার্জনেগার একটি ভিডিও মেসেজ পোস্ট করেন, যেই ভিডিওটি একটি জিমে রেকর্ড করা হয়।
ভিডিওতে মি. শোয়ার্জনেগার বলেন, “আলি যেভাবে বিষন্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের উৎসাহ ও সাহস দিচ্ছেন তা দেখে আমি গর্বিত।”
বিখ্যাত সিনেমা ‘টার্মিনেটর টু’ এর দা বিখ্যাত সিনেমা ‘টার্মিনেটর টু’ এর দারুণ জনপ্রিয় উক্তি ‘আস্তা লা ভিস্তা’ বলে ভিডিও শেষ করেন তিনি।
তথ্যসূত্র:বিবিসি