ভোলার মনপুরা উপজেলায় বিএপি’র মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প আয়োজন

0
73
প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিস্তারে বিএপি’র গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্টস’র অনেকগুলো লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া। এরই অংশ হিসেবে গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্যন্ত অঞ্চল ভোলার মনপুরা উপজেলায় একটি মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ক্যাম্প করা হয়।

মনপুরার একটি বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এই ক্যাম্পে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ পান। বিএপি’র মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে তিন শতাধিক রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়।

উক্ত ক্যাম্পে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন , ডা. মোহাম্মদ শামসুল আহসান মাকসুদ , ডা. মো. তৈয়বুর রহমান রয়েল, ডা. মো. রাহেনুল ইসলাম,  ডা. আরিফুজ্জামান, ডা. মো. শাহাদাত হোসাইন, শিশু ও কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুনিম রেজা, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার জনাব জামাল হোসেন রিয়াদ, ডা. আয়াজ ইব্রাহিম, ডা. তানভীর হাসান ,ডা. শহীদুল্লাহ কাজী, ডা. আজম ইকবাল। এছাড়াও গবেষণাধর্মী তথ্য সংগ্রহ ও সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনিং চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এখনো অনেকাংশে অবহেলিত, বিশেষত গ্রামীণ ও দ্বীপ অঞ্চলে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে বোঝা গেছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে আগ্রহী এবং প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

বিএপি’র এমন উদ্যোগের ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে সেখানে ,যেমন-মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণা দূর করার পাশাপাশি চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়েছে।যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছিলেন না, তারা সরাসরি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পেয়েছেন।বিএপি-এর এই আউটরিচ প্রোগ্রামের সফল বাস্তবায়ন দেখিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বেশি ক্যাম্প আয়োজন করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সহজে পেতে পারেন।

বিএপি-এর এই উদ্যোগ মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে সবার জন্য সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি কেবলমাত্র রোগীদের উপকারই করেনি, বরং ভবিষ্যতে কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আরও বিস্তৃত করা যায়, সেই দিকেও নতুন চিন্তার জন্ম দিয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

আরও দেখুন-

Previous articleডা. মোহাম্মদ জোবায়ের মিয়াকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদায়ন
Next articleজীবন নিয়ে হতাশা কাজ করে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here