এডিট ও নানারকম ফিল্টার ব্যবহার করে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে উঠে আসছে রঙবেরঙের নানারকম ছবি। ইন্সটাগ্রামসহ নানারকম ফটো শেয়ারিং এর মাধ্যমগুলোতে বাদামী, ধুসর ছবিগুলো ফিল্টারের মাধ্যমে সবুজ হচ্ছে। কিন্তু এই সবুজ কি জীবনকে সবুজ করতে পারছে?
গবেষকরা মনে করছে যে, নতুন এই ফটো শেয়ারিং এপসগুলো হতে পারে মানসিক অসুস্থতা সৃষ্টির নতুন কোনো কারণ। লেখক ও সাংবাদিক Jessica Winter এর মতে, “ফেসবুক আমাদের জীবনে যতটা না প্রভাব ফেলছে তার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে ইন্সটাগ্রামের মতো ফটো শেয়ারিং এপস গুলো। কারণ এর রঙিন, সুন্দর ফিল্টার করা ছবিগুলো জীবনকে অনেক বেশি ছুয়ে
যায়।”
স্বয়ং কমেডিয়ান Juliette Burton হতাশা, বিষণ্নতায় ভুগে নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে এসকল সামাজিক মাধ্যমগুলো হতে পারে ক্ষতির কারণ। তাঁর মতে, “আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এসকল মাধ্যম অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয় যখন আমরা এটা দিয়ে ধোকা দেই, প্রতিযোগিতা হিসেবে নেই।”
Mad Girl বইয়ের লেখক Bryony Gordon বলেছেন, “একটা সেলফির মাঝে কেবল শান্তনাই লুকিয়ে থাকে। আমি নিজেকে কেবল একা ভাবতাম আর অন্য সবাইকে অসুস্থ ভাবতাম। আমি মনে করি, খামখেয়ালির মাঝেই এরকম অসুস্থতা লুকিয়ে থাকে।”
অনেক সমস্যার মাঝামাঝি থেকে যখন বিছানা থেকে উঠা যাচ্ছে না তখনও একজন আসক্ত ব্যক্তি শুধু একটা ফটো আপলোড করার জন্য তার ক্যামেরা ফোন হাতে তুলে নেয়। এখন মানুষ মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে। তাই সঠিকটা বেছে নেয়ার সময় এখনই।
সবাই জানে যে ভার্চুয়াল এ লাইফটা আসল নয়। এক সময়ে এ জগতে সুপরিচিত হয়ে উঠার পর পরিচিতি হারালে তার প্রভাব এত সহজে চলে যায় না। সত্য গোপন করার অনুসুচনা গ্রাস করে ঠিকই। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার তা ঠিকই হয়ে যায়।