যখন কেউ দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সম্মুখীন হন, তখন তার দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন আসে। এই কঠিন সময়ের আরেকটি কঠিন কাজ হলো, নিজের মনোবল ধরে রাখা এবং আরো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া, যা আরো কঠিন অবস্থার জন্ম দেয়।
অনেক ক্ষেত্রে ধারণা করা হয় যে, নিজেকে ভালো বোধ করানো মানে হলো সবধরণের চিন্তা বাতিলের খাতায় তালিকাবদ্ধ করা। এ ধারণাটি ভুল। বরং ভাবনার গতি পরিবর্তন করলে আরো ভালোভাবে অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানো সম্ভব।
এখানে ১০ টি ধারণা দেওয়া হলো, যার সাহায্যে আপনি কিছুটা হলেও মানসিক ভারমুক্ত হতে পারেন।
১. নিজের সাথে কথা বলুন। নিজেকে বলুন যে, এটাকে খুব গুরুতর কিছু ভাবার দরকার নেই। যদি এভাবে ভাবতে আপনি অসফল হন, তবে এমন একজনের কথা ভাবুন, যে আপনাকে ভালো কিছু ভাবতে সাহায্য করতো। এভাবে ভাবলে মনে কিছুটা হলেও শান্তি আসবে।
২. গান্ধীজী বলেছেন, একমাত্র অপরিবর্তনীয় হলো পরিবর্তন। নিজের মধ্যে এই ধারণা আনুন যে আপনার সমস্যার অন্তত কিছু দিক পরিবর্তন হবেই যা হয়ত ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু নির্দেশ করবে।
৩. আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া অন্য একটি সমস্যার কথা ভাবুন, যেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি সমাধান পেয়ে গিয়েছেন। এমন ভাবনা আপনাকে বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলবে।
৪. কিছু সময় মেডিটেশন করে কাটাতে পারেন। কিছু সময় চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিন, শান্ত এবং আনন্দময় কোনো দৃশ্য বা সময়ের কথা ভাবুন। এরকম ভাবনা আপনার মেজাজের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
৫. যদি আপনি আপনার সমস্যাকে আগে থেকেই নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারেন, তবে আপনার মস্তিষ্ক চাপজনিত হরমোন থেকে কিছুটা হলেও বিশ্রাম দেবে। যখন আমরা শিথিল অবস্থায় থাকি, তখন কিছু না কিছু সৃজনশীল চিন্তা আমাদের মধ্যে কাজ করে। মুঠোফোন থেকে নিজেকে অনেকটা সময়ের জন্য সরিয়ে রাখলেও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৬. আপনার রসবোধ (সেন্স অফ হিউমার) শুধু যে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রভাব ফেলে তা নয়, বরং এটি আপনার মস্তিষ্ককে খুশি রাখার জন্য উদ্দীপনা যোগায়। পূর্বে কোন কাজটি আপনাকে হাসতে সাহায্য করতো? এ বেলায়ও সেটি করে ফেলুন না!
৭. সেই ইতিবাচক দক্ষতাগুলোকে লক্ষ করুন, যেগুলো আপনি সমস্যার খাতিরে শিখে ফেলেছেন। সেটা হতে পারে আপনি আগের তুলনায় আরো মনোযোগী হয়েছেন অথবা আরো দৃঢ় কিংবা নিজের প্রতি যত্নবান হয়ে উঠেছেন।
৮. একজন ভালো বন্ধু কিংবা যেকোনো ভালো মনের মানুষ কঠিন সময়েও আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক রাখতে সাহায্য করে। হতে পারে আপনি খুব কঠিন সময় পার করছেন। এমন সময় কেউ পাশে বসে আপনার কথা মন দিয়ে শুনলেও আপনি ভালো বোধ করবেন।
৯. রোজকার রুটিনের বাইরে কিছু করার চেষ্টা করুন। যেমন: প্রকৃতির মাঝে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি, নতুন কোনো মুভি দেখা, নতুন কোনো খুশির সুর আবিষ্কার করা। মোটকথা এমন কিছুতে নিজেকে জড়ান, যা আপনি আগে কখনো করেননি।
১০. নিজের প্রতি আরো বেশি করে যত্নবান হোন। যেমন মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত শরীরচর্চা, উৎসাহমূলক বই পড়া ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে-তে প্রকাশিত Pamela D. Garcy এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুপ্তি হাওলাদার
লিংক: https://www.psychologytoday.com/us/blog/fearless-you/201804/10-ways-lighten-when-you-face-chronic-problem
Asked for Male, 31 Years
I have a big problem, after ejaculation I feel really weak. As if there is no power left in me and my left hand or feet feel really weak. I get headaches and feel blurry. I don’t have sex, sex would make feel much much worse, i am scared I am not even married. I am scared I am scared from women now I feel scared to get married. I have very little energy it’s effecting my work. I feel I have lost my core strength, I feel with every ejaculation I loose my life force.