ক্যান্সার রোগীদের জীবনের শেষ দিন গুলোর জন্য একটা সামগ্রিক সেবা প্রয়োজন। কোনো একটাকে অস্বীকার বা অবহেলা করে অন্য একটার ওপর বেশি জোর দিলে সেবার অপূর্ণতা থেকে যাবে বা যায়।
শারীরিক সেবা:
শারীরিক কষ্টের মধ্যে ব্যাথা কমানো উল্লেখযোগ্য। ব্যাথার সাথে সাথে আরও সব চিকিৎসা উপসর্গ অনুযায়ী বিশেষ সেবার মাধ্যমে নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
মানসিক সেবা:
আমাদের মত আর্তসামাজিক প্রেক্ষাপটে মনের সেবার অনেক অংশই অগোচরে থেকে যায়। শরীরে ব্যাথার জন্য যেমন মন খারাপ হতে পারে তেমন মন খারাপের জন্যেও ব্যাথা বাড়তে পারে।
সামাজিক সম্পর্ক:
জীবনের শেষ দিনগুলো যাতে পরিচিত সবার সাথে সুন্দর বোঝাপড়ার মধ্যে বিন্যাস্ত করা যায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য যথাযত পদক্ষেপ নেওয়া চিকিৎসার অংশ হিসাবে গন্য করা হয়।
আত্মিক পরিচর্যা:
অন্যান্য সব সেবাকে বেষ্টন করে রাখে আত্মিক পরিচর্যা। ওই সময়ে মানুষের আত্মার অনুভূতি অনুভব করা ও সেটা অনুযায়ী সংবেদনশীল সেবা প্রদান করা আসলেই খুব চ্যালেঞ্জিং।
ক্যান্সার রোগীদের জন্য রোগের অবস্থা, রোগীর অবস্থা, আর্থসামাজিক অবস্থা শান্ত ভাবে যুক্তি দিয়ে চিন্তা করে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। সাথে সাথে রোগীর সেবার জন্য শুধু শারীরিক দিকে সব মনোযোগ না দিয়ে মানসিক, সামাজিক ও খুব গুরুত্বপূর্ণ আত্মিক পরিচর্যার সুন্দর সমন্বয় প্রয়োজন।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।