ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থার ওপর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন চাওয়া হয় ব্যবসায়ী এবং ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কাছে। মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে ব্যক্তির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতিকর সম্পর্ককে সুন্দর করতে এই অনুসন্ধান।
প্রায় তিন চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারী জানান, যখন মানসিক সমস্যায় পড়েছেন- আর্থিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেছে। অন্যদিকে, জরিপ চালানো ব্যক্তিদের মাঝে শতকরা ৯৩ ভাগ মানুষ মানসিক দুরাবস্থায় থাকার সময় বেশি খরচ করার কথা জানিয়েছেন। শতকরা ৫৯ ভাগ অর্থ ধার করেছেন, যা অন্য সময় তারা কখনই করতেন না বলে দাবি করেন। তবে ঐ একই ধরনের অবস্থায় আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা মানুষ শতকরা ৯২ ভাগ।
অনুসন্ধানের গভীরে পাওয়া যায় আরও অদ্ভুত সব তথ্য। মানসিক ভাবে সমস্যায় পড়লে নাকি শতকরা ৭৪ ভাগ মানুষ তাদের পাওনাই শোধ করেন না, সে সময়। আর শতকরা ৭১ ভাগ মানুষ আর্থিক বিষয় থেকে দূরে থাকেন।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় লোন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান “মানি এডভাইস ট্রাস্ট” -এর চীফ এক্সিকিউটিভ জোয়ানা এলসন বলেন, “ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এই তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক এবং মানসিক উভয় সংক্রান্ত সমস্যা লুকিয়ে রাখার প্রবণতা আছে সমাজে। ফলে একে অন্যকে বাড়িয়ে তোলে।”
সাধারণত মনে করা হত ধারদেনার ফলে মানুষের মানসিক চাপ বাড়ে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ততা বাড়ে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, একই সাথে উল্টোটাও সত্য। অনুসন্ধানের ফলাফল তাই বলে।
তাই ফিনান্স ইন্ডাস্ট্রি, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংস্থা এবং পলিসি মেকারদের এখনই সময় নতুন করে ভাবার। একসাথে কাজ করার। অর্থনীতিকে মানসিক সমস্যার ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে নতুন গতি দেয়ার।
তথ্যসূত্র: মিরর
মাসাফি আহমেদ ফেরদৌস অনিক, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম