এই ব্যাপারটি এই রাজ্যের জন্য প্রথম। চার্লসটন সেন্টারে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য নতুন একটি পদ্ধতি চালু করেছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সেবিকারা ট্রাই ক্রাইসিস স্ট্যাবিলাইজেশন সেন্টার পরিদর্শনে আসেন। যাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের যে কোন সাহায্য প্রাপ্তিতে এটি একটি নতুন সুবিধা হিসেবে কাজ করবে।
চার্লসটন ডরচেস্টার মেন্টাল হেলথ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডেবোরাহ ব্লালক বলেন, “তারা হয়ত মনে মনে অন্য কারোর ক্ষতি করার কথা ভাবছে। তারা হয়ত দিন দিন ভেতরে ভেতরে কিছুটা পাগল হয়ে উঠছে। হয়ত তারা বিষণ্ন। হয়ত তারা উন্মত্ত। এবং এজন্য তাদের সেবার প্রয়োজন যার জন্য তাদের হাসপাতালে যেতে হবে না, তাদের আটকে রাখতে হবে না, তাদের ঘরে বেধে রাখতে হবে না। তাদের এইসব কিছুর মাঝ থেকে এমন কিছু দরকার যা থেকে তারা তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে”।
এমইউএসসি এর মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রধান এবং মনোরোগবিদ্যা বিভাগের ডেপুটি চেয়ারম্যান ডঃ জেফরি ক্লুভার বলেন, “আমাদের সম্প্রদায়ে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার আবেদন এবং প্রয়োজন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সম্প্রদায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছে, এই ব্যাপারে যেসব সামাজিক ভ্রান্তি রয়েছে তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এবং সবচেয়ে আনন্দদায়ক ব্যাপার হচ্ছে মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কথা জানাচ্ছে চিকিৎসার জন্য আসছে”।
স্টেট ও কাউন্টি এজেন্সি, এমইউএসসি এবং রোপার সেইন্ট ফ্রান্সিস এই সেন্টারটির জন্য অর্থ প্রদান করছে। তারা এই সেন্টারের জন্য তহবিলের যোগান দিচ্ছে। শেরিফের একজন ফুল-টাইম ডেপুটি স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ এবং আল কানন ডিটেনশন সেন্টারের সাথে মেলবন্ধনে সহায়তা করবে।
চার্লসটন শেরিফের সহকারী মিচ লিউকাস বলেন, “আমাদের কাছে যেসব অপরাধীরা রয়েছে তাদের যদি আটকে না রেখে অথবা জেলে না রেখে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার দিকে ধাবিত করা যায় তবে সেটা অনেক বড় একটা ব্যাপার হবে। কেননা জেলে আটকে থেকে বেশিরভাগ অপরাধীরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগে এবং তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠে। যদি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা এবং সাবস্টেন্স এবিউস প্রোগ্রামের আওতায় রাখা যায় তবে তা সবার জন্য বড় রকমের জয়ের ব্যাপার হবে”।
এটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের তাদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের একটি নতুন প্রক্রিয়া। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত একটি স্থানীয় ক্রাইসিস স্ট্যাবিলাইজেশন সেন্টার খোলা ছিল। কিন্তু ডিএইচইসি এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী এটি বন্ধ হয়ে যায়। নতুন সেন্টারটি গতকাল খোলা হয়েছে এবং তারা ইতোমধ্যে ৩ জন রোগীকে সেবা প্রদান করছে। আরও ২ জন এই সপ্তাহে ভর্তি হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
রোপার সেইন্ট ফ্রান্সিস, চার্লসটন কাউন্টি শেরিফের অফিস, চার্লসটন সেন্টার এবং বার্কলে মেন্টাল হেলথ সেন্টার এই নতুন সেন্টারের সাথে জড়িত। এখানে ১০ জন রোগীর বিছানা রয়েছে। অর্থাৎ ১০ টি বেড রয়েছে। শেরিফের অফিস থেকে দিনে ৩ বেলা জেলে খাবার আসে সে খাবার এই সেন্টারে পাঠানো হয়।
তথ্যসূত্র-
(http://abcnews4.com/news/local/new-center-opens-for-local-mental-health-patients)
কাজী কামরুন নাহার, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম