মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি কমাতে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলের সমুদ্র সৈকতে ৬ টি নতুন ধরনের সেবা চালু করা হয়েছে। এর সাথে রয়েছে ওয়ান টু ওয়ান পরামর্শ প্রদান। এছাড়া যারা নিম্ন স্তরের চাপ অনুভব করছে এবং উদ্বিগ্নতায় ভুগছে তারা টেলিফোন করে সেবা নিতে পারে অথবা অনলাইনে ই কোর্সের মাধ্যমে সেবা নিতে পারে।
এছাড়া স্কাইপ ভিডিও কল পদ্ধতিতে ইকোর্সের সেবা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। যারা ঘর থেকে বের হতে পারে না তাদের জন্য এ সেবাটি প্রদান করা হবে যেমন গৃহিনী কিংবা মা। যাদের খুব গুরুতরভাবে সাহায্যের দরকার, যারা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে, তাদের জন্য আরো বেশি সমর্থন, সেবা ও সহায়তা থাকবে। একজন সহকারী সমন্বয়ককে তার যে কোনো সমস্যায় যথাযথ সেবা প্রদানের জন্য রাখা হবে।
লাইফলাইন উত্তর উপকূল সমুদ্র সৈকতের সিইও ডেভিড থমাস কিছু নতুন সেবা প্রদান করবেন বলে তিনি বলেন, এটাই সনাক্ত করা জরুরি ছিল কাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নয় এবং কাদের মানসিক অবস্থা গুরুতর খারাপ। তিনি বলেন, “মানুষকে সাহায্য করার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে সমস্যা দেখা দেয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা করতে হবে”।
সিডনি নর্থ প্রাইমারি হেলথ নেটওয়ার্ক এর প্রধান মাগদা ক্যাম্পবেল বলেন, “যেকোনো সম্প্রদায়ের জন্য তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা অতি গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা প্রতিদিন একজন করে হলেও নিজেদের ক্ষতি করা অথবা আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করে ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়”। তিনি বলেন “তাদের নেটওয়ার্ক গত সাড়ে ৩ বছরে সাড়ে ২২ মিলিয়ন ডলার কমিশন পেয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতিকে আরো উন্নত করার জন্য”।
ডেভিড গ্রান্ট যিনি পিএইচএন-এর পক্ষ থেকে কমিশন সেবায় সাহায্য করে থাকেন তিনি বলেন, “মেডিকেল সম্প্রদায়ে কমপক্ষে ৩০০ জনের বেশি সাহায্য চেয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে কেমন সেবা প্রদান করা উচিত”। তিনি আরো বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য এই কাঠামো খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। আমরা তাদের খুজে বের করতে চাই যারা সমস্যার প্রাথমিক অবস্থায় আছেন, তাদের সেবায় টেলিফোন কাউন্সেলিং রয়েছে। এবং যেসব মায়েরা প্রতিষ্ঠানে এসে সেবা নিতে পারছেন না তাদের জন্য স্কাইপ এ কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা রয়েছে”।
ম্যাকেলার-এর সদস্য জেসন ফ্যালিন্সকি বলেন, “টাকাগুলো যেসব মানুষ সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন তাদের সাহায্যের জন্য। এটা সবটাই মানুষের প্রয়োজন অনু্যায়ী সেবা প্রদানের জন্য সেবা ব্যবস্থার পরিবর্তন। যেসব মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তারা শিখতে পারে কিভাবে উদ্বিগ্নতা এবং চাপের মোকাবিলা করা যায়। আমরা তাদের সে সেবা প্রদান করতে চাই যে সেবার মাধ্যমে তারা তাদের নিজেদের সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবে। আমরা চাই তারা তাদের সমস্যার মোকাবিলা করুক। আমরা সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের খুজে বের করতে চাই এবং তাদের হাতে প্রয়োজনীয় হাতিয়ার তুলে দিতে চাই যেন তারা সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে”।
তথ্যসূত্র-
(http://www.dailytelegraph.com.au/newslocal/manly-daily/new-mental-health-help-for-northern-beaches/news-story/2346c2e805db62eb1c9b2fbf18678c55)
রুবাইয়াত মুরসালিন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম