অনেক সময়েই মনকে শান্ত করা নিজের ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আমাদের মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরণের মন। অনেকে নিজের মনের ভাবও বুঝতে পারেন না। মনকে শান্ত করতে না পেরে অনেকেই ভুল অনেক কাজ করে ফেলেন। যা তাদের নিত্যজীবনে সমস্যা তৈরি করছে। তবে মনকে বশ করে যদি একবার শান্ত করা যায় তাহলে দেখা যায় কাজগুলো অনেক সুন্দর করে করা যায়। জীবনে কোন দ্বিধা থাকে না। অল্প সময়ে অশান্ত মন শান্ত করার কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করা কঠিন কিছু নয়।
কাজের চাপ, ব্যক্তি জীবনের সমস্যা, মানসিক চাপ ইত্যাদি যখন তখন মনকে বিষিয়ে তুলতে পারে। আবার মনের ওপর চাপ কমাতে কাজের মাঝে বিরতি নেওয়াও সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।
শিকাগো’র ‘হ্যারল্ড ওয়াশিংটন কলেজ’য়ের অধ্যাপক সনদপ্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল মনোবিজ্ঞানী ড. অ্যামি ডেরেমিয়াস ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “মন যদি কাজে ব্যস্ত থেকে থাকে তাহলে তা থেকে বিরত থেকে স্বস্তি পাওয়া যাবে না। তাই দ্রুত স্বস্তি পাওয়ার উপায় বের করতে হবে।”
‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাইপোলার ডিজওর্ডার’ বইয়ের এই লেখক দ্রুত মন ভালো হওয়ায় কয়েটি উপায় সম্পর্কে জানান।
* ঘরে ও বাইরে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় বস্তু, ছবি বা শব্দ নির্বাচন করে রাখুন। চারপাশের সুন্দর পরিবেশ মানুষের মন এমনিতেই ভালো করে দেয়।
* এক টুকরা পছন্দের খাবার খান। এর স্বাদ, ঘ্রাণ, রং ও আকার মনকে উৎফুল্ল রাখে।
* মনোযোগ দিয়ে ‘লিরিক্স’ ছাড়া গান শুনুন। এতে করে সম্পূর্ণ মনোযোগ যন্ত্রের দিকে থাকে। এই সুর মস্তিষ্ক থেকে হৃদয় পর্যন্ত ঘুরে আসে তাকে শান্ত করে দেয়।
* কোন দুল বা গলার লকেট ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। এর দুলনের সঙ্গে সঙ্গে বড় বড় শ্বাস নিন। গবেষণায় দেখা গেছে, গভীর শ্বাস স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং মুহূর্তেই ‘প্যারাসিমপেথেটিক সিস্টেম’কে শান্ত করতে সহায়তা করে।
* যে সব কথা আপনাকে উৎসাহিত করে বা শুনতে পছন্দ করেন তা লিখে রাখুন। খাতা বা ফোনে রিমাইন্ডার হিসেবে লিখে রাখতে পারেন, মন ভালো হয়ে যাবে।
* ‘চাইল্ড পোস্ট’ বা শিশু ভঙ্গি অর্থাৎ মাতৃগর্ভে শিশু যে ভঙ্গিমায় থাকে, সেভাবে কিছুটা সময় কাটান। এতে শরীর নিরাপদ বোধ করে এবং স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়।
* মুখ ধোয়া। এটা মন ও দেহকে সতেজ রাখতে খুব ভালো কাজ করে।
* চলাফেরা, ওঠা-বসা, সাঁতার কাটা, লাফানো বা দৌঁড়ানো ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরকে সক্রিয় রাখা উচিত। এতে স্নায়ুচাপ, মানসিক চাপ ও অন্যান্য জটিলতা সহজেই হ্রাস পাবে।
* যতটা সম্ভব ‘ডিভাইস’ বা যন্ত্র থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। ঘুম বিশেষজ্ঞদের মতে, শোবার ঘরে ‘ডিভাইস’ অর্থাৎ ফোন, ল্যাপটপ, টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। অন্যথায় উদ্বেগ বাড়ে।
* মনে পড়লেই ভালো লাগে এমন দশটা জিনিসের তালিকা করে চোখে পড়বে এমন স্থানে টাঙিয়ে রাখা যেতে পারে। এতে যতবার সেদিকে চোখ যাবে মন প্রফুল্ল হয়ে উঠবে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে