মনই হলো মানুষের সকল ক্ষমতার উৎস। মানুষের শরীর সর্বদাই তার আলোকিত মনকে অনুসরণ করে। মানুষ অনেক কিছুই ভাবতে পারে, যা তার সাধ্যের বাইরে; আর এই ভাবনার মাধ্যমেই তা সাধ্যের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়ে; নিজের চিন্তাও বাস্তবের মধ্যে ঐক্যতান সৃষ্টির ফলেই আসে সার্থকতা। তাই সাফল্য খন্ডিত বা বিচ্ছিন্ন কোনো প্রাপ্তি নয়; এটি হলো বিশ্বাস ও যোগ্যতার সমন্বয়ে গঠিত মনের এমন এক শক্তিশালী অবস্থা যা সবকিছুই অর্জন করতে পারে।
পৃথিবী এমন এক চমৎকার জায়গা যার সর্বত্রই চ্যালেঞ্জ ছড়িয়ে আছে। আমাদের শক্তিশালী মন কখনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে, কখনো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। পৃথিবীর সব বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতোই বড় বড় অভিযাত্রীরাও অদম্য মনোবল নিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। তারা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন তাদের প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি ও শরীরিক সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে। তাই অভিযান নিয়ে নিজের মধ্যে চলে টানাপোড়েন; সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা। প্রতিটি অভিযানই হলো কোমল আর কঠিনের এক আশ্চর্য় সংমিশ্রণ; আর এই চ্যালেঞ্জ যতটা শারীরিক ততটাই মনস্তাত্বিক। শরীর-মনের এই দ্বন্দ্বের পরিণামে মানুষ এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। এই পরীক্ষায় উৎরানো সম্ভব তখনই যখন ইতিবাচক মন শক্তভাবে হাল ধরে। নিজের মনটাকে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করা ও তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করাটাই জরুরি।
তাই এটাই সবৈব সত্য যে সফলতার চাবিকাঠি স্বয়ং আমাদের মন। আমাদের শুধু তা খুঁজে বের করতে হয় এবং দক্ষতার সাথে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। নিজেকে বিশ্বাস করাতে হয় আমার দ্বারা যেকোনো অসাধ্য সাধন সম্ভব।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না কর্তৃপক্ষ।