১। জ্ঞান: যখন নতুন ও গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়, অনেক ব্যক্তিগত তথ্য আমরা ভাগাভাগি করি, যা সাধারণত আমরা অন্য কারও সাথে বলতে পারি না। গবেষণায় দেখা যায়, নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি তথ্য ভাগাভাগি করে।সাধারণত গভীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের গভীর কোনো ইচ্ছা, স্বপ্ন, ভয়, অতীত অভিজ্ঞতা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে।
২। পারষ্পরিক নির্ভরতা: গভীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারষ্পরিক নির্ভরতা অনেক বেশি প্রয়োজন।
৩। যত্ন নেওয়া: যত্ন নেওয়া সুস্থ গভীর সম্পর্কের অন্য একটি নির্দেশক। যত্ন নেওয়াটা অন্য যেকোনো মানুষের থেকে আলাদা হবে সঙ্গীর প্রতি। একজন আরেকজনের আনন্দ, দুঃখে সবসময় পাশে থাকবে। গভীর সম্পর্কে ভালোবাসাটা সত্যিকার ও স্বার্থহীনভাবে হতে হবে।
৪। বিশ্বাস: বিশ্বাসটা খুবই জটিল একটি জিনিস, যা ভালো সম্পর্ক তৈরিতে এবং ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশ্বাস হলো আত্মবিশ্বাস, যা সম্মান পেতে ও ভয়হীনভাবে কথা বলার নির্ভরতা তৈরি করে।
৫। সংবেদনশীলতা: সঙ্গীরা একে অন্যের প্রতি সংবেদনশীল থাকবে; অর্থাৎ একে অন্যকে স্বীকৃতি দেওয়া, বুঝতে পারা, সমর্থন করা (আনন্দ বা দুঃখ) সবসময়য়ই। যেমন: কারো চাকরি হারানো বা নতুন চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়া।
৬। ভাগাভাগি: গভীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতা ‘আমি’ থেকে ‘আমাদের’ হয়, যেমন; আমি ওখানে ঘুরতে যাবো এটা চিন্তা না করে আমরা ওখানে ঘুরতে যাবো চিন্তা করা।
৭। প্রতিশ্রুতি: পরিশেষে, সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে ছোটখাটো ঝামেলাগুলো নিজেরা বোঝাপড়া করে সমাধান করা উচিত, তবেই অন্তরঙ্গতা বাড়বে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে ডট কমে প্রকাশিত Mariana Bockarova এর রচনা অবলম্বনে সুস্মিতা বিশ্বাস।
লিংক: https://www.psychologytoday.com/us/blog/romantically-attached/201802/what-makes-intimate-relationship-intimate