ব্র্যাকের উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

0
19

জনগণের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। চলমান উদোগগুলোকেও আরও সুসংহত ও সমন্বিত করতে হবে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইইডি)-এ রআয়োজনে দুদিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য সম্মেলনের সমাপনী দিনে  ১২ নভেম্বর (সোমবার)  বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
‘চলুন শুনি এবং বলি’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ সম্মেলনটি শুরু হয় গত রোববার (১১ নভেম্বর)। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এতে উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলন আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত আদান প্রদান করা এবং বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে সফল মডেল গুলো নিয়ে আলোচনা করে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কথোপকথনে মানুষকে উৎসাহিত করা।
এ সম্মেলন প্রতিদিন দুটি করে মোট চারটি বিষয়ের উপর অধিবেশন অনুষ্ঠিতহয়। সেগুলো হলো: দুর্বল অবস্থায় মানসিক এবং সামাজিক সমর্থন,মাতৃত্বকালীন এবং নবজাতকের মানসিক স্বাস্থ্য, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য এবং কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য।অধিবেশন গুলোতে আলোচনা করেন ড. নিশাত এফ রহমান, ড. নাহামা ব্রোনার, মো. আবুল কালাম এনডিসি, ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ড. জিনা হামাদানি, লিলিয়ান মেফোল, ড. অ্যানি গ্লোউইনিস্কি, ড. এরাম মারিয়াম প্রমুখ।
প্রথম অধিবেশনে বিআইইডি-র চার স্তর বিশিষ্ট মডেলকে কেন্দ্র করে হিউম্যানিটেরিয়ান প্লেল্যাব মডেল বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এর মাধ্যমে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মানুষকে মনোসামাজিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে়। এই সেশনে দুর্বল অবকাঠামোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহায়তা দিতে বিকল্প পদ্ধতির উপরও জোর দেওয়া হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনের বিষয় ছিল মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে তার সন্তানের বিকাশে প্রভাব বিস্তার করে-তার উপর। মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য মায়ের মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব ও প্যানেল বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনায় উঠে আসে।
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে তৃতীয় অধিবেশনে বলা হয় সন্তানের সামাজিক-মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও অভিমত জানানোর পাশাপাশি এখানেও তিনটি দেশে প্রয়োগ করা প্লেল্যাব মডেল নিয়ে আলোচনা করা হয়।বাংলাদেশ, উগান্ডা এবং তানজানিয়ার প্রতিনিধিরা তাদের দেশের  ‘প্লেল্যাব’  সম্পর্কে কথা বলেন। চতুর্থ অধিবেশনে কিশোর- কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আবেগচালিত সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলা হয়। এদের কিছু সমস্যা প্রায়শই অবহেলিত হয়। কিশোর-কিশোরীদের কথা শোনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ -তাই ছিল এই অধিবেশনের মূল বিষয়।

Previous articleমনের খবর- নভেম্বর সংখ্যায় সিজোফ্রেনিয়া ‘র সব খবর
Next articleBACAMH এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here