অতি চঞ্চলতার পেছনে বাচ্চাদের কোন দোষ নেই

অতি চঞ্চলতার পেছনে বাচ্চাদের কোন দোষ নেই

অতি চঞ্চলতা বা হাইপার এক্টিভিটি যে বাচ্চা, এরকম বাচ্চা আমার পেশাগত জীবনে আমি পেয়েছি তবে কম্পেরাটিভলি নরমাল বাচ্চাদের থেকে এদের সংখ্যা কম হয়। দু’একটা বাচ্চা থাকে এরকম। তাদের মধ্যে যেসব লক্ষণ থাকে, সেটা হচ্ছে তারা কোন এক জায়গায় স্থির থাকেনা, খুব বেশী চঞ্চল, তাদের মনোযোগ বিভিন্ন দিকে থাকে। একদিকে তারা মনোযোগ রাখতে পারে না।

আমি মনে করি, প্রত্যেকটা শিশুই আলাদা। এখানে অতিচঞ্চল বাচ্চাদের মেইনটেইন করতে একটু কষ্টই হয়। এটাকে অবাধ্যতা বলা যাবেনা বা রাগ করাও ঠিক হবে না। কারণ তাদের চরিত্রটা এরকমই হয়ে থাকে।

ক্লাসে একজন কো-অরডিনেটর হিসেবে আমাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। বাচ্চাটা পড়ে গেলো নাকি, অন্য একটা বাচ্চাকে মারল নাকি, তাকে দিয়ে কাজ করানোটাও কঠিন। অন্য বাচ্চাদেরকে যেমন ড্রয়িং থেকে শুরু করে সব সহজেই করানো যাচ্ছে। এদের ক্ষেত্রে তা একটু ব্যতিক্রম।

সাধারণত ৫ জন স্বাভাবিক বাচ্চার জন্য ১ জন ইন্সট্রাক্টর দিয়ে শেখানো গেলেও, অতিচঞ্চল ১ জন বাচ্চার ক্ষেত্রে ১ জন ইন্সট্রাক্টর প্রয়োজন হয়ে পড়ে। একে বলে ওয়ান টু ওয়ান সার্ভিস।

অতিচঞ্চলতার পেছনে বাচ্চাদের কোন দোষ নেই। আসলে স্বভাবগতভাবেই সে এরকম বেড়ে উঠে। এজন্য এধরণের বাচ্চাদের ব্যাপারে সবাইকে আলাদা যত্নশীল ও সতর্ক থাকতে হবে।

নাজিয়া ইসলাম, শিক্ষক, সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

Previous articleযৌন ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এলাচ
Next articleঘুম থেকে চিৎকার করে উঠি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here