বয়সভেদে শিশুর রাগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

বয়সভেদে শিশুর রাগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

আনন্দ, সুখের মতো রাগও মানবীয় গুণাবলীর অংশ। রাগ আমাদের অন্যান্য আর সব অনুভূতির মতোই স্বাভাবিক।রাগ বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে সামান্য কারণেই অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার প্রবণতা স্বাভাবিক নয়। শিশু জন্মের পর থেকেই আবেগ প্রকাশ করতে পারে।

জীবনের অন্য সময়ের চেয়ে শৈশবে শিশুরা বেশি আবেগ প্রকাশ করে থাকে। তখন স্থান, কাল চিন্তা করার প্রয়োজন মনে করে না। কারণ শিশু এই সময় সামাজিক প্রত্যাশার বিষয়টি বোঝে না, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে শেখে।

শিশুদের রাগ বা জেদ কেন হয়?

অনেক বাচ্চাই আছে যারা সহপাঠীদের খেলনা কেড়ে নেয়, আঘাত করে, চিৎকার করে। অনেক শিশুই স্কুলে থাকা অবস্থায় বিরক্ত বোধ করে অথবা নিজেকে অবহেলিত মনে করতে থাকে। এরকম পরিস্থিতিতে অন্য কোনো শিশু সামান্য বিরক্ত করলেই প্রতিশোধ হিসেবে ধাক্কাধাক্কি বা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। আবার অনেক শিশু ক্ষুধা লাগলে বুঝতে পারে না কীভাবে প্রকাশ করতে হয়। তাই তখনো রাগ বা জেদ প্রকাশ করতে পারে।

না, শিশুরা ইচ্ছে করে এমন আচরণ করে না বা মা-বাবাকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলে না। আমাদের মানবিক আবেগ অনুভূতির প্রকাশও নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের প্রি ফ্রন্টাল কর্টেক্স নামের অংশ থেকে। এই অংশটি আমাদের ব্রেইনের অন্যান্য অংশের চাইতে দেরিতে ডেভেলপ হয়। এটি চার বছর থেকে পরিপূর্ণতা লাভ করে। ঠিক এই কারণেই চার বছরের আগে শিশুদের সামাজিকতা আর মানবিক আবেগ অপরিপক্ক ধরা হয়। তাই এই বয়সে জেদ বা রাগ করাটাই স্বাভাবিক।

শিশুর রাগ প্রকাশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন:

জন্মগতভাবে প্রাপ্ত মেজাজ:

এটা বংশগতভাবে প্রাপ্ত জিন দ্বারা প্রভাবিত। মনোবিজ্ঞানে কিছু শিশুকে বলা হয় ডিফিকাল্ট চাইল্ড বা সহজে মানানো যায় না এমন শিশু। এ ধরনের বাচ্চারা অল্পতেই উত্তেজিত হয়, একরোখা হয়, সহজে সন্তুষ্টু হয় না, কথা শোনে না। আবার কিছু বাচ্চা থাকে যাদের বলা হয় ইজি চাইল্ড বা সহজে মানানো যায় এমন শিশু, যাদের খাওয়া, ঘুম, বাথরুম একটি নিয়মের মধ্যে থাকে।

পরিবেশ: শিশু যে পরিবেশে বেড়ে ওঠে সে পরিবেশ শিশুর আবেগ বিকাশে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন:

বাড়ির পরিবেশ: বাড়ির পরিবেশ শিশুর আবেগ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবারের স্নেহের বন্ধন শিশুর মধ্যে শক্তিশালী অনুভূতির বিকাশ ঘটায়। পরিবেশের প্রভাবেই বিকশিত হতে থাকে শিশু মনের গঠন।

প্রশিক্ষণ: ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়, তারা বড়োদের আবেগ প্রকাশের ধরন অনুকরণ করে। তার সঙ্গে আমাদের আচরণ কেমন হচ্ছে, তার কোনো ব্যবহার বা আচরণ আমাদের মাধ্যমে অজান্তে উৎসাহ পাচ্ছে কিনা, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে তার মেলামেশা, চারপাশে সে কী দেখে বড়ো হচ্ছে ইত্যাদি নানা কিছুই প্রভাব ফেলে তার মনে। এরই প্রতিফলন দেখি শিশুর আচরণে।

সন্তানের যেসব আচরণে মা-বাবা মনোযোগ দেবেন, সেসব আচরণ সে বারবার করবে। এই মনোযোগ যেমন: আমরা আদর বা প্রশংসা করা, দাবি পূরণ করার মাধ্যমে দিতে পারি, তেমনি বকা দেওয়ার বা বোঝানোর মাধ্যমেও হতে পারে। যেমন: কোনো বাচ্চা কিছু কেনার জন্য জেদ করলে তাকে সেটা কিনে দিলে তার জেদ করার প্রবণতা আরো বাড়তে পারে।

হেলদি কন্ডিশন:

সুস্থ ও রুগ্ন শিশুর আবেগ অনুভূতির মধ্যে পার্থক্য থাকে, শিশুর দীর্ঘদিনের অসুস্থতা, অপুষ্টি বা প্রতিবন্ধকতা আবেগের বিকাশকে প্রভাবিত করে। শিশুর মধ্যে নেতিবাচক অনুভূতির বিকাশ ঘটায়।

রাগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

অল্পসল্প রাগ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই কারণ আগেই বলেছি রাগ একটি স্বাভাবিক আবেগ। আর রাগ করলেই যে সেটা খারাপ তাও কিন্তু নয়। কারণ বয়সভেদে রাগের বহিঃপ্রকাশ ভিন্ন হতে পারে। ৩-৮ বছর বয়সী বাচ্চারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কিছু শেখে, এই বয়সেই বাচ্চারা প্রি-স্কুল শুরু করে। অর্থাৎ বাসার বাইরে থাকার সঙ্গে ওদের পরিচয় হয়। এই বয়সী বাচ্চারা কাউকে মেরে, খামচি দিয়ে বা কান্নাকাটি করে আবেগ প্রকাশ করে থাকে।

শুধু প্রি-স্কুল নয়, স্কুলে পড়ুয়া বাচ্চারাও আছে যারা নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অনেক বাচ্চারই স্কুলে শিখতে সমস্যা হয়। যার ফলে তারা পড়া শুনতে, বুঝতে ও পড়তে বাধার সম্মুখীন হয়। এতে করে স্কুলে তাদের মন বসে না এবং ভেতরে ভেতরে হতাশ হতে থাকে। এসব কিছুই তার ভেতর থেকে বের হয় মারমুখী বা আক্রমণাত্মক আচরণের মাধ্যমে।

সুতরাং রাগ প্রকাশের মতো রাগ নিয়ন্ত্রণেও বয়সভেদে কিছু পার্থক্য থাকে, কারণ প্রি-স্কুল আর স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে অনুভূতি ও ভাব প্রকাশের ভিন্নতা থাকে। শিশুরা তাদের নিজস্ব হতাশা, ক্ষোভ বা চাহিদা প্রকাশ করে জেদের মাধমে। আমরা বড়োরা যেভাবে নিজেদের এই অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, বাচ্চারা তা মোটেই পারে না।

আসলে অতিরিক্ত রাগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিকার নেই, তবে এক্ষেত্রে শিশুর রাগ কমানোর জন্য এবং ভালো আচরণের উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনি চাইলে অনেক কিছুই করতে পারেন। যেমন:

সবসময় একটা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থাকুন:

প্রতিদিনের একটা রুটিন তৈরি করে ফেলুন যাতে করে কোনটার পর কোনটা করতে হবে এ সম্পর্কে আপনার শিশুর আগে থেকেই ধারণা তৈরি হয়। প্রতিদিনের খাওয়া, ঘুম, বিশ্রাম, খেলার একটা প্রাত্যহিক রুটিন সেট করুন। সবকিছুর ক্ষেত্রেই একটা সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক সীমারেখা তৈরি করুন এবং প্রতিনিয়ত সেটা মেনে চলুন। যৌথ পরিবারে রুটিন মেনে চলা মুশকিল, তবে একটু চেষ্টা করলেই কিš‘ সম্ভব।

সবকিছু আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখুন:

আপনার কোনো কাজ সেরে নেয়ার সময় শিশু যাতে ক্ষুধার্ত অথবা খুব বেশি ক্লান্ত না হয়ে পড়ে এদিকে খেয়াল রাখুন। যদি এমনটা মনে হয় যে আপনাদের কোথাও বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে তাহলে শিশুকে ব্যস্ত রাখার জন্য ছোটো খেলনা অথবা সামান্য কিছু খাবার সঙ্গে রাখুন।

ব্যস্ত রাখুন, সময় দিন:

আপনার শিশুর ক্ষুধা, একঘেয়েমি, ক্লান্তি, অতিরিক্ত উত্তেজনা এড়াতে তার প্রয়োজনগুলো যথাসময়ে পূরণ করুন। এমন রুটিন সেট করবেন না যা বাচ্চার জন্য মেনে চলা কঠিন হয়ে পড়ে। বাসায় সবসময় হেলদি স্ন্যাক্স, ফল ইত্যাদি রেডি রাখুন, বাচ্চার সময় কাটানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ যেন হাতের কাছেই থাকে। ঘুমানোর আগের সময়টা উত্তেজনাকর খেলাধুলা থেকে দূরে রাখুন। ঐ সময় বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়লে যেমন দৌঁড়ঝাপ, অতিরিক্ত দুষ্টুমি করলে সহজে বিছানায় যেতে চাইবে না।

শিশুকে কথা বলার জন্য উৎসাহ প্রদান করুন:

শিশুরা সাধারণত অনেক কথাই বুঝতে পারে যেগুলো তারা বলতে পারে না। আপনার শিশু যদি ইতিমধ্যে কথা বলা শুরু না করে থাকে অথবা কথা বলতে পারে তবু তাকে বেশ কিছু শব্দ কীভাবে ইশারায় প্রকাশ করতে হয় সেটা শিখিয়ে দিন। অনেক বাচ্চা আগ্রাসী আচরণ যেমন: লাথি মারা, চেচানো, আঘাত করা, কাঁমড়ানো ইত্যাদি করে থাকে। কারণ তারা অন্যভাবে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করতে জানে না, তাদের নিজেদের আবেগগুলো নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন।

আপনার শিশুকে নিজ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন:

সবকিছুর ক্ষেত্রে শিশুকে না বলা থেকে বিরত থাকুন। আপনার শিশুকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শেখানোর জন্য তাকে তার নিজ সম্পর্কে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে দিন। যেমন: তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন তুমি কি এই লাল শার্টটি পরবে নাকি নীল শার্টটি পরবে? অথবা খাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করুন তুমি কলা খেতে চাও নাকি কমলা খেতে চাও?

শিশুর ভালো আচরণের জন্য প্রশংসা করুন:

যখনই আপনার শিশু ভালো কোনো আচরণ করবে তখন তার প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিন, তাকে তখন একটু বেশি প্রাধান্য দিন।

নিজেকে শান্ত রাখুন, উত্তেজিত হবেন না:

শিশু কেন জেদ করছে বা ওকে জেদ করতে দাও বা বাচ্চারা তো জেদ করেই থাকে এই ধরনের মন্তব্য না করাই ভালো। শিশুর জেদ নিয়ে মা-বাবা বা পরিবারের অন্যদের মধ্যে মতের অমিল হলে চলবে না আর হলেও তা কোনোভাবেই বা”চাটির সামনে প্রকাশ করবেন না।

চাকুরিজীবী মায়েদের মধ্যে অনেকসময় একটা অকারণ অপরাধবোধ কাজ করে। তাদের সবসময় মনে হয়, সন্তানকে তিনি বোধহয় অযত্ন করছেন। তাই বাড়ি ফেরার সময় প্রায়ই খাবার, খেলনা নিয়ে যান। এতে স্বভাবতই বাচ্চার মনের চাহিদা বাড়তে থাকে, বাচ্চাদের জেদের অন্যতম কারণ এটি। বাচ্চাকে সহজভাবে বোঝান আপনার কাজ করাটা প্রয়োজন। বাড়ি ফিরতে দেরি হলে চকোলেট নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই বরং ফেরার পথে প্ল্যান করুন আজ রাতে ওকে কোন গল্পটা বলবেন।

বাচ্চাকে মারধোর, গালাগালি করবেন না:

আপনার বাচ্চার রাগের সময় কখনোই উল্টো রাগ দেখাবেন না, ওর ওপর চিৎকার না করে কোলে তুলে নিন, নরম স্বরে কথা বলুন, এমনকি কোলে তুলে নিলে যদি আপনাকে মারতে থাকে জেনে নিন ওর বয়সের জন্য এসব স্বাভাবিক ঘটনা, এ সময় যুক্তি কোনো কাজে আসবে না, ওর সঙ্গে রাগারাগি করেও লাভ হবে না। শিশুর বদমেজাজ যদি বেড়ে যেতে থাকে তাকে একা রাখুন। শিশুর বয়স অনুপাতে প্রতি বছরের জন্য এক মিনিট করে আলাদা রাখবেন, যেমন আপনার শিশুর বয়স যদি দুই বছর হয় তাহলে তাকে দুই মিনিট আলাদা রাখুন, তিন বছর হলে তিন মিনিট আলাদা রাখুন। সবসময় এই অভ্যাস পালন করবেন, এই আলাদা রাখার সময়ে শিশুর কোনো কথা বা কাজে সাড়া দেবেন না।

যদি মনে হয় আপনার বাচ্চা রেগে গিয়ে কারো গায়ে হাত তুলতে যাচ্ছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটকান, আপনার বাচ্চা যদি প্রি-স্কুলার হয় তবে সবার প্রথমে তাকে ওই জায়গা থেকে বের করে আনবেন। তারপর তাকে একা একঘরে রেখে আসবেন। সেখানে সে একা একাই নিজের রাগ শান্ত করবে। আর আপনার বাচ্চা যদি বড় হয়ে থাকে তাহলে শাস্তিস্বরূপ তার টিভি দেখা কমিয়ে দিতে পারেন, তার পকেট মানি কমিয়ে দিতে পারেন অথবা এমন কিছু করবেন যা তাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে সে যদি চিল্লাচিল্লি বা অন্য বাচ্চার গায়ে আর একবার হাত তোলে তাহলে তার প্রিয় কোনো জিনিস তাকে হারাতে হবে।

আপনার বাচ্চা যতবারই এমন আচরণ করবে ততবারই তার সঙ্গে আপনিও একই আচরণ করবেন। এতে করে সে যতবারই খারাপ আচরণ করতে যাবে ততবারই তার মনে হবে এর বিনিময়ে তাকে কিছু হারাতে হবে। তখন সে সেসব কাজ আর করতে চাইবে না।

আপনার বাচ্চার মারমুখী আচরণে যদি কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে তাকেই সেই জিনিসের দায়িত্ব নিতে হবে। এটা কোনো শাস্তি নয় বরং একটা দায়িত্ব হিসেবে বোঝানোর চেষ্টা করুন। চার বছরের নিচের শিশুদের জেদের জন্য শাস্তি দেবেন না কখনোই। মনে রাখবেন শারীরিক আঘাত করলে শিশু মানসিকভাবেও আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

ভায়লেনট গেইম, ভিডিও, টিভি সিরিজ বন্ধ করুন:

বাচ্চারা যদি মারামারির গেইম খেলে অথবা এ ধরনের চ্যানেল বেশি দেখে তাহলে সে চেষ্টা করবে সেভাবেই আচরণ করতে। তাই বাচ্চাকে অভ্যস্ত করুন বিভিন্ন লার্নিং গেইম অথবা টিভি সিরিজে।

আদর্শ রাগ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি:

আপনার শিশুকে নিজের রাগের সঙ্গে মোকাবেলা করতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তাকে আপনি নিজে রেগে গেলে কীভাবে আপনার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করেন তা দেখিয়ে দেওয়া। যদি আপনার শিশু আপনাকে রেগে যেতে দেখে সেও তাই করবে। আর আপনাকে আপনার অনুভূতির সঙ্গে ভদ্র ও বিনীতভাবে বুঝতে দেখে তাহলে সে সেটাই অনুকরণ করবে।

প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

কিছু কিছু বাচ্চা আছে যারা নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সামান্য কিছু হলেই মারমুখী আচরণ করে, এর কারণ হতে পারে মানসিক সমস্যা। মানসিক সমস্যা কথাটা শুনতে অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে। অনেকেই প্রতিবাদ করতে পারেন যে আমার বাচ্চার মানসিক সমস্যা নেই, কিন্তু মানসিক সমস্যা মানেই পাগলামি নয়, হয়ত বা আপনার বাচ্চা নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছে না বিধায় সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে এমন আচরণ করছে। তাই বাবা-মার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একজন কাউন্সেলর বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের।

ডা. হোসনে আরা

Previous articleশিশুর মানসিক বিকাশে পরিবারের দায়িত্ব
Next articleছেলে ইয়াবা সেবন করে, কথা শোনে না

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here