আবিষ্কার হলো মানসিক রোগ সনাক্তকরণ অ্যালগরিদম

0
32

মানসিক রোগ সনাক্ত করতে পারে এমন এক অ্যালগরিদম আবিষ্কার করেছেন গবেষেকরা। যেটি কিনা রোগ সনাক্ত করার পাশাপাশি উপযুক্ত চিকিৎসার হিসেবও করতে পারে।
গবেষকরা জানান, এই নতুন অ্যালগরিদম দু’টি মানসিক রোগের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করতে পারে। সেই সঙ্গে নির্ণয়কারী রোগের চিকিৎসাও অনুমান করতে পারে। লসন স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মাইন্ড রিসার্চ নেটওয়ার্ক এবং ব্রেইনেটোমি কেন্দ্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আবিষ্কিত এই অ্যালগরিদমটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত।
গবেষণার প্রথম অংশে লন্ডন হেলথ সায়েন্স সেন্টারের মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের ৬৬ জন প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করে। যারা কিনা পূর্বে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার এবং বাই পোলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ছিল। গবেষকরা এটির মাধ্যমে এফএমআরআই ব্রেইন স্ক্যান পরীক্ষা করে এবং তা পরবর্তীতে আরো ৩৩ জন অংশগ্রহনকারীর ব্রেইন স্ক্যানের সাথে তুলনা করেন। যাদের কিনা আগে কোনো মানসিক রোগের ইতিহাস নেই। আবিষ্কৃত হয় যে, তিনটি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের ব্রেইন স্ক্যান কিছু নির্দিষ্ট ব্রেইন নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন। যেমন ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক, যা কিনা স্ব-প্রতিফলনকে নির্দেশ করে।
গবেষণাটির পরবর্তী অংশে এই গবেষক গণ মাইন্ড রিসার্চ নেটওয়ার্কের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই তথ্য গুলোর উপর ভিত্তি করে একটি এআই অ্যালগরিদম তৈরি করেন। মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে অ্যালগরিদমটি ৯২.৪ শতাংশ সঠিকতায় স্ক্যানগুলো পরীক্ষা করতে এবং রোগীর এমডিডি কিংবা বাইপোলার আছে কিনা তা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এই অ্যালগরিদমটি পরবর্তীতে আরো ১২ জন জটিল মুড ডিজঅর্ডারের অধিকারী অংশগ্রহনকারীর উপর প্রয়োগ করা হয়। যাদের কিনা আগে কোন রোগ হয়েছে কিনা তা এখনো পরিষ্কার না। এই অ্যালগরিদমটি আরো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা অনুমান করতে পেরেছিল এবং বিভিন্ন ওষুধের প্রতি রোগীর প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করেছিল।
গবেষকদের ফলাফলে দেখা গেছে ১২ জনের মধ্যে ১১ জন অংশগ্রহনকারী অ্যালগরিদম দ্বারা অনুমানিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এই গবেষণাটি প্রাপ্তবয়স্কদের জটিল মুড ডিজঅর্ডারে জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা প্রতিক্রিয়ার বায়োমারকার খোঁজার ক্ষেত্রে একটা বড় পদক্ষেপ নেয় বলেন এই গবেষণার একজন প্রধান অন্বেষী, ডক্টর এলিজাবেথ অসুচ।
অসুচ আরো বলেন, যখন জটিল মুড ডিজঅর্ডার সম্পন্ন কোনো রোগীর সঠিক চিকিৎসা না দেয়া হয়, তখন তাকে সঠিক ওষুধ সাজেশন করাটা কঠিন কাজ। কোনো জৈবিক পরীক্ষা বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগী কোন ধরণের ওষুধের প্রতি সাড়া দিবে জানতে পারলে, তা মানসিক রোগীর ক্ষেত্রকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: গ্লোবাল নিউজ।
অনুবাদটি করেছেন মাঈশ তাহসিন অর্থী।

Previous articleশিশুর তোতলামো সমস্যার সমাধান মাতৃদুগ্ধে
Next articleসামাজিক জীবনে নিকোটিনের প্রভাব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here